ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ঘরে বউ রেখে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ (হিজড়া) সেজে প্রতারণা ও অশ্লীলতাসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে মো. রুবেল (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
রুবেল উপজেলার কলমি ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড চরমঙ্গল গ্রামের আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে।
জানা যায়, হিজড়া সেজে প্রতারণার মাধ্যমে অশ্লীলতা ও চাঁদাবাজির উৎপাত বেড়েই চলছে। কে আসল, কে নকল এ নিয়ে হিজড়াদের মধ্যে শুধু ঝগড়া বিবাদই নয় রীতিমত চাঁদার ভাগ বাটোয়ারা এবং সিনিয়র, জুনিয়র নিয়ে চলছে বাগযুদ্ধ। এদের মধ্যে মো. রুবেল (৩০) নামের এক যুবক ঘরে বউ রেখে পুরুষ হয়েও নারী হিজড়া সেজে সকাল (২৯) নাম ব্যবহার করে নিজ এলাকা চরফ্যাশন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হাটবাজারে মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করণসহ অশ্লীলতা এবং ব্ল্যাকমেইল করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সরেজমিনে চর-কলমি ইউনিয়ন চরমঙ্গল গ্রামের চৌমুহনী বাজারের একাধিক ব্যক্তি বলেন, রুবেল আগে তার বাবার সঙ্গে কৃষি ও রাজমিস্ত্রি কাজসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় দর্জি সালাউদ্দিন নামে এক যুবকের হাত ধরে ঢাকায় গিয়ে সেখান থেকে সে নারীদের পোশাক পড়ে আঞ্জুরহাট বাজারে আসেন। পরে এলাকাবাসী রুবেলকে নারীসুলভ আচরণ ও পুরুষ হয়ে নারী সাজতে মানা করলেও সে কিছুতেই মানছে না। বরং সে ঘরে বউ রেখে নারী হিজড়া সেজে অশ্লীলতার পাশাপাশি স্থানীয় চরমঙ্গল চৌমুহনী বাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় উঠতি বয়সি ও যুবকদের সঙ্গে নাচগান এবং অশ্লীল কর্মকাণ্ড করে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার দাবি স্থানীয়দের।
রুবেল ওরফে সকাল হিজড়ার মা বলেন, আমরা ধার্মিক মানুষ। আমার ছেলে রুবেলের ঘরে স্ত্রী রয়েছে। স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা চাই রুবেল হিজড়াদের জগত থেকে সাধারণ জীবনে ফিরে আসুক এবং তাকে নিয়ে সংসার করুক।
এ বিষয়ে রুবেল ওরফে সকাল হিজড়া সংবাদকর্মীকে মোবাইল ফোনে জানান, কেউ যদি আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে সাহায্য করে তাহলে আমি আর এ ধরনের প্রতারণার কাজ করবো না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসব।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, কেউ যদি ঘরে বউ রেখে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণাসহ ব্ল্যাকমেইলের সঙ্গে জড়িত থাকলে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।