আওয়ামী লীগের আমলে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এ নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। যেসব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তারা এসে দেখে যাক।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট চুরি করে আওয়ামী লীগকে জিততে হয় না। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে বলেই আওয়ামী লীগ ভোট পায়। যখনই এ দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তার প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আওয়ামী লীগকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবার নির্বাচনে হেরেছে, ততবারই চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। জনগণের ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে।’
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগণের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। এটি আমার কথা নয়, কানাডার আদালত এ রায় দিয়েছে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা যারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস, লুটপাট করেছে; তারা কানাডায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিল। তখন তারা বিএনপিকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী দল হিসেবে ঘোষণা দেয়।’
তিনি বলেন, বিএনপির ২০১৪ ও ’১৮ সালের অগ্নিসন্ত্রাস মানুষ ভুলে যায়নি। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায় নেই। বিএনপির আমলে খাম্বা ছিল, বিদ্যুৎ ছিল না। এ সময় খুনি সন্ত্রাসী দল বিএনপির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা বিচার চাইতে পারিনি। তাই আমরা মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করছি।’