জেএসসি ও জেডিসির বদলে হবে বার্ষিক পরীক্ষা

73

ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে কয়েক বছর চলার পর বন্ধ হয়ে গেল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। তবে একই ধরনের পাঠ্যসূচিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বার্ষিক পরীক্ষা নেবে।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
spot_img

সভায় জানানো হয়, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার বিষয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই সনদ দেয়া হবে। শিক্ষা বোর্ড থেকে কোনো সনদ দেয়া হবে না। তবে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) কার্যক্রম থাকবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ অনুযায়ী পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। ২০২৩ থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেয়ার সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।

এছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে চলতি বছরের মতো আগামী বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও হবে পরিমার্জিত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে। তবে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা স্বাভাবিক পাঠ্যসূচিতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, এ বছর যে পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হচ্ছে, আগামী বছরও সেই পাঠ্যসূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা হবে।

অন্যদিকে, সভায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা ছিল না। আর অন্যদের পরীক্ষা দেয়ার সর্বোচ্চ বয়স ২০ বছরই রাখা হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

প্রসঙ্গত, সরকারি পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। আর ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Advertisement
spot_img