গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে টিআই চেষ্টা করছে। পরের দিন আরেক অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর জন্য টিআইবিকে জড়িয়ে কথা বলেন তিনি। এরপরই এই বিবৃতি দিল সংস্থাটি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পরপর দুদিন ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার করেছেন সেতুমন্ত্রী। টিআই/টিআইবির সঙ্গে ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব বিষয়ের দায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ধরনের কাজ সেতুমন্ত্রীর জন্য আত্মঘাতী ও বিভ্রান্তিকর। টিআইবি সেতুমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে মঙ্গলবার উদ্বেগ জানায়। কিন্তু একই দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে শাপলা চত্বরের আলোচিত ঘটনার সঙ্গে টিআই/টিআইবিকে সম্পৃক্ত করে মন্ত্রী আবারো মিথ্যাচার করেন।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী এক ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।’ চিঠিতে তাকে জানিয়েছি, তিনি ক্রমাগত আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন, যার সঙ্গে টিআই বা টিআইবির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে তার কাছ থেকে এমন মিথ্যাচার অনভিপ্রেত।
মন্ত্রীর অভিযোগ পুরোপুরি অমূলক উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, আমরা চিঠিতে মন্ত্রীকে এটি মনে করিয়ে দিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্য একটি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে টিআই বা টিআইবিকে দায়ী করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর। একই সঙ্গে বিএনপির সঙ্গে টিআই/টিআইবির সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে অভিযোগও পুরোপুরি অমূলক। অন্যদিকে শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়েও অন্য একটি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন।