ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ভিডিও কন্টেন্ট জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার অনামিকা একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়েন। ননবম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি বিভিন্ন নেশায় জড়িয়ে পড়েন। একসময় ড্যান্স ক্লাবের সদস্য ছিলেন, করতেন ডিজে পার্টিও। বিভিন্ন ভুয়া পরিচয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান, বিশেষ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ রাজনীতিবিদদের টার্গেট করে বন্ধুত্ব করতেন অনামিকা। মুহূর্তেই পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এবং অনলাইনে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন তিনি।
ঘনিষ্ঠ হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে ভিডিও কলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। পরে সুকৌশলে একান্ত মুহূর্তের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করতেন। এভাবে লোকজনের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করে প্রচুর টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, এক ভুক্তভোগীর করা মামলার পর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে অনামিকা খানমকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স। তার কাছ থেকে প্রতারণা এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, তার মোবাইল ফোনে অসংখ্য লোকজনকে ব্ল্যাকমেইল করার তথ্য পাওয়া গেছে। বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আলামতও পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন প্রতারণাসহ অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। মূলত নেশার টাকা যোগাড় করতেই এই অনৈতিক পথ বেছে নেন তিনি।