চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও ঘরে ঘরে পুলিশী হয়রানির প্রতিবাদ

192

গত ১৪ জুন চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা গায়েবী মামলায় সকল আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পরও পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও ঘরে ঘরে তল্লাশী চালিয়ে হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

Advertisement
spot_img

বুধবার (২১ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মিথ্যা মামলায় নামভুক্ত নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করছে সরকার। চট্টগ্রামে সরকারের জুলুম নির্যাতন বিভিন্ন কৌশলে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে তারণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে চকবাজার, কোতোয়ালি, হাটহাজারী ও মিরেরসরাই থানায় চারটি গায়েবী মামলা করা হয়। এসব মামলায় নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। কিন্তু তারপরও পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশীর নামে হয়রানি করছে। গতকাল বাকলিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাকলিয়া থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মহানগর যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা ফাহিম ও নঈম উদ্দিনকে বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। তারা কিন্তু কোন মামলার এফআইআর ভুক্ত আসামী নন। তারপরও তাদেরকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এভাবে পুলিশ চট্টগ্রামে বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাসায় গিয়ে তল্লাশির নামে পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানি করছে। পুলিশ চট্টগ্রামে একপ্রকার গণগ্রেফতার শুরু করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপি তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়েই রাজনীতি করেন। তারাই আমাদের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়। এবার যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তারা ১৪ জুন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। উপরন্তু তারাই এখন মামলার আসামি। আবার ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা সেখানে ছিলেনই না। যারা তৃণমূলে আমাদের সমর্থকদের সংগঠিত করে, তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এর কারণ, তারা যাতে নির্বাচনের সময় মাঠে থাকতে না পারেন। গত বছর পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের তালিকা করেছে এখন সেই তালিকা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজনীতি থেকে দুরে রাখতেই পুলিশ এখন এই পন্থা নিয়েছে। একদিকে নতুন মামলা ও অন্যদিকে পুরাতন গায়েবি মামলার চার্জ গঠন করে আদালতে আমাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতেই সরকার আবারও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবী মামলা দেওয়া শুরু করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সবক্ষেত্রে ব্যর্থ বর্তমান অবৈধ সরকার এখন দিশেহারা হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতারের খেলায় মেতে উঠেছে। লক্ষ্য একটাই, আবারও বিনাভোটে জোর করে, কারচুপি করে যেনতেনোভাবে ক্ষমতা দখল করা। এই লক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হত্যা, গুমসহ অব্যাহত গতিতে গ্রেফতার করে কারান্তরীণের মাধ্যমে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিনত করেছে সরকার। বর্তমান সময়ে এই গ্রেফতারের ঘটনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ ধরনের অপকর্ম সরকারের চলমান প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। আমরা এই গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি চট্টগ্রামে এইসব রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার বন্ধের দাবী জানায়।

নেতৃবৃন্দ গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

Advertisement
spot_img