রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেবেন। জেলা শহরের সেন্ট্রাল হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠেয় এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে, ১৪ জুন চট্টগ্রামে যৌথভাবে তারুণ্যের সমাবেশ করে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
বগুড়ায় এই তারুণ্যের সমাবেশের জন্য প্রথমে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আয়োজনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। একই দিনে জেলা যুবলীগ শহরের সাতমাথায় পাল্টা শান্তি সমাবেশ ঘোষণা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যুবলীগ আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তারুণ্যের সমাবেশ সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়। যুবলীগও সোমবারের বদলে রোববার শান্তি সমাবেশ আয়োজন করে।
‘সমাবেশ বানচালে প্রশাসনের নানা তৎপরতা’
সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘অতীতের মতোই তারুণ্যের সমাবেশ বানচাল করতে প্রশাসন নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। সমাবেশে নেতাকর্মীরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, এজন্য ধুনট উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছাড়াও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। সমাবেশে বাধা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গত শনিবার রাত থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরপাকড় করছে, হয়রানি করছে। এটি পুলিশের কাজ নয়। সভা-সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা সবার জন্য সমান থাকা উচিত।’