চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে আ. জ. ম নাছির উদ্দীন

69

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক ফোরামে যে দাবী ও প্রস্তাবনাগুলো উত্থাপন করেছেন তা যৌক্তিক অর্থেই সর্বজনীন এবং জনআকাঙ্খার প্রতিফলন। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরাজির যে ভূমিকা রয়েছে তাকে আরো বেশি প্রসারিত করতে আমাদেরকে এখন একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক অভিলাস নেই। আছে মানবজীবন ও আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত সুরক্ষায় একটি পরিশুদ্ধ সমাজ গড়ার অঙ্গীকার। তিনি আজ রোববার সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৃক্ষরোপন অভিজান ও বৃক্ষচারা বিতরণ অনুষ্ঠানে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মানুষের পক্ষে ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থান থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। যদি মুক্তি না পাই আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবী বসবাস যোগ্য হবে না। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জলবায়ুগত পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা এখন স্বাভাবিকের চেয়ে অতি উচ্চমাত্রায় পৌছেছে। যেখানে স্বাভাবিক উষ্ণতার মাত্রা ০.৮ থাকার কথা সেখানে এই উষ্ণতার মাপ দাড়িয়েছে ২ ডিগ্রিরও বেশি।

Advertisement
spot_img

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, আগামী ২০-৩০ বছরের মাথায় বৈশ্বিক উষ্ণতা এমন পর্যায়ে পৌছাবে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগুবে। এই প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র বৃক্ষরোপন নয় কি কি কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং সেগুলো যাতে আমাদের অভ্যাসগত ধারণা থেকে পরিত্যাগ করতে পারি সে ব্যাপারেও সচেতন হওয়া। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু দূষণ ও পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি দায়ী করছেন উন্নত দেশগুলোই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাদেরকে এই দায় অবশ্যই বহন করতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে পরিবেশ রক্ষা ও প্রাকৃতিকগত দূষণ মোকাবেলায় শুধু সহায়তা নয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

আমরা রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণ সাধন করা। জনগণের কল্যাণ সাধনের অর্থই হলো জনগণের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণ করা এবং মানুষ যাতে ভালো থাকে, সুখে থাকে এজন্য সার্বিক সহযোগিতা করা। এটাই হচ্ছে আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সার্থকতা। তিনি আরো বলেন, কিছু পরাক্রমশালী দেশ বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে চায়। তারা ৭১ সালেও বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারে নি এবং ব্যর্থ হয়েছে এবারও বাংলাদেশ ও বাঙালিকে দাবিয়ে রাখার দেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি ঘোষণা করেন, কোন পরাক্রমশালী দেশের পরিকল্পিত কৌশল ও নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এজন্য প্রয়োজন আমরা রাজনৈতিকভাবে পদমর্যাদা থেকে আমরা যে দায়িত্ব পালন করছি তা সঠিকভাবে পালন করা। আমাদের কোন বিপর্যয় নেই। ঐক্যই হচ্ছে আমাদের বিজয়ের ভিত্তি।

এই ঐক্য অক্ষুন্ন থাকলে কোন শক্তি আওয়ামী লীগকে ডোবাতে পারবে না। এটা ইতিহাসের প্রামাণ্য শিক্ষার পাঠ। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মসিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোঃ হোসেন, নির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু, হাজী রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব সাহাব উদ্দীন আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সালেহ আহমদ চৌধুরী, সাইফুল আলম বাবু, রুহুল আমিন তপন। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ধর্ম সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ, উপ সম্পাদক শহীদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, আব্দুল লতিফ টিপু, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, মোঃ জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ। মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ, কৃষকলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Advertisement
spot_img