চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত আরো একজনের মৃত্যু

29

চট্টগ্রামে গত একদিনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নগরীর বাকলিয়ার বাসিন্দা ফজিলাতুন্নেছা (৭১) শুক্রবার মারা গেছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Advertisement
spot_img

সার্জন বলেন, “ফজিলাতুন্নেছা ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। কোভিড আক্রান্ত হয়ে তিনদিন আগে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।”

এ নিয়ে এক সপ্তাহে চট্টগ্রামে কোভিডে দুজনের মৃত্যু হল।

এর আগে ১৬ জুন মীরসরাই উপজেলার জোররাগঞ্জের বাসিন্দা শফিউল ইসলামের (৭৫) মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। তিনি অস্ত্রোপচার পরবর্তী জটিলতা ভুগছিলেন এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

পরের দিন ১৭ জুন চট্টগ্রামের একজনের মৃত্যুসহ সারা দেশে ৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শনিবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ছয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা সবাই নগরীর বাসিন্দা।

সরকারি-বেসরকারি ছয়টি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় গত ২৪ ঘণ্টায়।

এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৬২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৫ জনই নগরীর। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এর আগে গত ১০ জুন প্রথম চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দেয় সিভিল সার্জন কার্যালয়। সেদিন একজনের শরীরে এবং তার তিনদিন আগে আরো দু’জনের শরীরে করোনভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিল জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।

কোভিড সংক্রমণ শুরুর পর জেলার জন্য চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে এই রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়।

শুরুতে সেখানে আইসিইউ বেড থাকলেও ভেন্টিলেটর না থাকায় সেই সেবা ছিল। পরে জেনারেল হাসপাতালে তিনটি ভেন্টিলেটর সংযুক্ত করে ৫ শয্যার আইসিইউ সেবা চালু করা হয় কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য।

দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর শনিবার পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৬ জনের।

কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যায় কোভিডে।

ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলেছে।

Advertisement
spot_img