যুবদল নেতাকে হয়রানি করছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আসামি যুবলীগ নেতা

543

কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বক্সিরহাট ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিদারুল ইসলাম দিদার অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি ও তার পরিবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

Advertisement
spot_img

১৮ মে (রোববার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “২০০৭ সাল থেকে স্বৈরাচারী শাসনের সময়ে এবং সাম্প্রতিক সময়েও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সালাউদ্দিন মাঝি ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সোহাগ।”

তিনি জানান, তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ২০টিরও বেশি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার ফলে তাদের ব্যবসা, সামাজিক অবস্থান ও পারিবারিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দিদারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “২০২৪ সালের জুলাইয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমরা আবারও ব্যবসা পরিচালনায় মনোনিবেশ করার চেষ্টা করি। কিন্তু সালাউদ্দিন মাঝি ও তার ছেলে সোহাগ একটি চক্র গঠন করে আমাদের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে।”

তিনি দাবি করেন, উক্ত চক্রটি চাক্তাই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা, ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য ব্যবহার করে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জরিমানাও করেছে বলে জানান তিনি।

দিদারুল আরও জানান, “চলতি বছরের ২১ মার্চ যৌথবাহিনী আমার দুই ভাই মোঃ আজগর ও ছোটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। কিন্তু তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। একইভাবে চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানার দুটি হত্যা মামলাও ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাহার হয়েছে।”

তিনি দাবি করেন, তাদের অফিসের কর্মচারীরাও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমনকি সালাউদ্দিন মাঝির কারখানার এক মহিলা কর্মীর মেয়েকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়। পরে আদালত মামলাটিকে ভিত্তিহীন ঘোষণা করে জামিন দেন এবং বাদিনীকেও মুচলেকায় মুক্তি দেন।

দিদারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “৫ মে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সালাউদ্দিন মাঝি ও তার ছেলে ১৩ ও ১৪ নম্বর আসামি হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রতি তিনি সত্য প্রকাশে সহযোগিতা চেয়ে বলেন, “আপনাদের কাছে অনুরোধ, নিরপরাধ মানুষের পক্ষে সত্য প্রকাশে সহযোগিতা করুন যাতে রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার না হতে হয়।”

সংবাদ সম্মেলনে মোঃ দিদারুল ইসলামের দুই ভাই ব্যবসায়ী মোঃ আজগর,ছোটন মিয়া, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আহসান খালেদ,মোঃ জাহাঙ্গীর, ব্যবসায়ী হারুন
উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
spot_img