জাহাজ আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা না নেওয়ায় ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

83

জাহাজ আত্মসাৎ, অচেতন করে নির্যাতন এবং জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহণ না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রামের পুরাতন ফিশারিঘাট এলাকার একজন মাছ ব্যবসায়ী।

Advertisement
spot_img

আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মো. বেলাল উদ্দিন নামের ওই ব্যবসায়ী বলেন, থানায় জিডি করার এক মাস পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং থানা কর্তৃপক্ষ আপোষের পরামর্শ দিচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যায়বিচারের অন্তরায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি ‘এফবি কহিনূর-০২’ নামের একটি ফিশিং জাহাজের মালিক। এক বছর আগে তিনি জাহাজটি শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির কাছে বার্ষিক ৪৭ লাখ টাকায় ভাড়া দেন। উভয়ের মধ্যে লিখিত চুক্তিও হয়। কিছুদিন পর ভাড়ার বিষয়ে মতবিরোধ হলে শাহ আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

গত ১৩ এপ্রিল শাহ আলম মোবাইলে ব্যবসায়িক আলোচনার কথা বলে তাকে মইজ্যারটেক এলাকায় ডেকে নেন। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে তাকে ব্রিজঘাট এলাকায় নিয়ে গিয়ে অজ্ঞান করা হয়। পরে একটি অজ্ঞাত কক্ষে আটকে রেখে শাহ আলম ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে এবং ইয়াবা ও বিদেশি মদের বোতল সামনে রেখে ছবি তোলে। সেই সঙ্গে তিনটি সেট স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয়, যাতে জাহাজ বিক্রির ভুয়া তথ্য লেখা ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

বেলাল উদ্দিন বলেন, “আমি হজ করে এসেছি বলে মদ খেতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ায়। একপর্যায়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি আমি পুলিশে অভিযোগ করি বা মামলা করি, তবে তারা আবারও আমাকে অপহরণ ও নির্যাতন করবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি পরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিই এবং কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং সমঝোতার কথা বলে সময় ক্ষেপণ করছে।”

তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমার জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আমি ন্যায়বিচার চাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”

Advertisement
spot_img