
ব্যাটাররা পারলেন না বড় পুঁজি এনে দিতে। বোলাররাও করতে পারেননি লড়াই। সব দিক দিয়েই বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তাতে ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষা বেড়েছে।
লাহোরে শনিবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। লক্ষ্যের ১৭৮ রান তারা পেরিয়ে যায় ৬২ বল হাতে রেখে।
পাঁচ ম্যাচেই জিতে বাছাই পর্ব শেষ করল আগেই চূড়ান্ত পর্বের টিকেট পাওয়া পাকিস্তান। সমান ম্যাচে বাংলাদেশ শেষ করল টানা তিন জয়ের পর টানা দুই পরাজয়ে। দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে বৈশ্বিক আসরে খেলার সম্ভাবনা এখনও উজ্জ্বল বাংলাদেশের। নিগার সুলতানার দলকে টপকে বিশ্বকাপে খেলতে হলে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে অভাবনীয় কিছু করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুই নম্বরে থাকা বাংলাদেশের রান রেট +০.৬৩৯। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট এখন ৪, রান রেট -০.২৮৩।
বল হাতে শুরুটা অবশ্য মন্দ ছিল না বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শাওয়াল জুলফিকারকে এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। এরপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি দল। ফিরতে দেননি মুনিবা আলি। প্রথমে সিদরা আমিনের সঙ্গে ১০১ বলে ৮০ ও পরে আলিয়া রিয়াজের সঙ্গে ৯৭ বলে ৭৪ রানের জুটিতে নেতৃত্ব দেন এই ওপেনার।
৯৩ বলে ৮ চারে ৬৯ রান করে ম্যাচসেরাও মুনিবা। ৫২ বলে ৩৩ রান করেন সিদারা। ৬৫ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন আলিয়া।
এর আটে টসে জিতে ব্যাটে নামা বাংলাদেশ ২১ রানে হারায় ৩ উইকেট। দল লড়াইয়ের পুঁজি পায় রিতু মনির ৭৬ বলে ৪৮ এবং ফাতিমা খাতুনের ৫৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের কল্যাণে।
ছন্দে থাকা নিগার সুলতানা জ্যোতির আউট নিয়ে অবশ্য সন্দেহের অবকাশ আছে। ফাতিমা সানার বলে তিনি এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি, কিন্তু খালি চোখে বল ইমপ্যাক্ট লাইনের বাইরেই মনে হচ্ছিল।
সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন শারমিন আক্তার আর রিতু মনি। তবে শারমিন বিদায় নেন দলীয় ৬৫ রানে ৪৭ বলে ২৪ রান করে। এপাশে রিতু টিকে ছিলেন, তিনি এরপর পঞ্চম উইকেটে আরও একটা ৪৪ রানের জুটি গড়েন নাহিদা আক্তারের (৫১ বলে ১৯) সঙ্গে।
রিতুর বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস টেনেছেন ফাহিমা।
পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। ফাতিমা সানা ও ডায়ানা বেগ নেন ২টি করে। রামিন শামিম ও নাশরা সান্ধু নেন ১টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ১৭৮/৯ (দিলারা ১৩, ফারজানা ০, শারমিন ২৪, নিগার ১, রিতু ৪৮। নাহিদা ১৯, ফাহিমা ৪৪*, স্বর্ণা ২, সুমনা ৬, রাবেয়া ২, মারুফা ৬*; ফাতিমা ১০-০-৪৫-২, সাদিয়া ১০-১-২৮-৩, রামিন ১০-০-২৫-১, ডায়ানা ১০-১-৪৫-২, নাস্রা ১০-১-৩৪-১)
পাকিস্তান: ৩৯.৪ ওভারে ১৮১/৩ (শাওয়াল ২, মুনিবা ৬৯, সিদ্রা ৩৩, আলিয়া ৫২*, নাটালিয়া ১৩*; মারুফা ৬-০-২৭-১, নাহিদা ১০-০-৩৬-১, সুমনা ৩-০-২৪-০, রাবেয়া ১০-১-২৫-১, ফাহিমা ৯-০-৪৭-০, রিতু ১.৪-০-১৬-০)
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: মুনিবা আলি
















