আরেক ‘কিংস পার্টির আত্মপ্রকাশ, ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’র আহ্বায়ক

123

ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে অর্থ লুট করা ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। আহ্বায়ক রফিকুল আমীন দলটির সদস্য সচিব হিসেবে বেছে নিয়েছেন বহুল আলোচিত সমালোচিত ফাতিমা তাসনিম’কে।

Advertisement
spot_img

গণঅধিকার পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী এ নেত্রী জুলাই আন্দোলনের সময় তৎকালীন সমন্বয়ক ও বর্তমানে এনসিপি প্রধান, সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বোন পরিচয় দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার বনানীতে শেরাটন হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কিংস পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। এরপর পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত। জাতীয় সঙ্গীত শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রফিকুল আমীন। এ সময় তিনি দলের নাম ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠের শুরুতে রফিকুল আমীন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ বঞ্চনা ও বৈষম্যের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। তাই দেশের মানুষকে এক হয়ে স্বৈরাচার বিদায় করতে হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায় ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ২০২২ সালের ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি আসামিদের ও কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement
spot_img