
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার সদরে বিএনপি’র ব্যানারে বের করা হয় বাংলা নববর্ষ কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে হঠাৎ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের প্রায় ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও দলের গোলাম আকবর খন্দকার মীরসরাই উপজেলার সাবেক কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করে ঘোষণা দেয়ার পর একটি পক্ষ তা মানতে নারাজ। আর এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে পর পর হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পর পরই গঠিত নতুন কমিটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করার হয়। কিন্তু, সেই স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে বিলুপ্ত হওয়া কমিটির পক্ষে এবং নতুন কমিটির পক্ষে ব্যানার ব্যবহার করে বাংলা নতুন বছর কে স্বাগত জানিয়ে উভয় পক্ষ ১৪ এপ্রিল (সোমবার) মীরসরাই সদর ও বারইয়ারহাট পৌরসভায় পৃথক পৃথক ভাবে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে।
মীরসরাই সদরে প্রথমে একটি পক্ষ শোভাযাত্রা বের করে সমাপ্ত করার পর আরেক পক্ষ শোভাযাত্রা বের করলে প্রথমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে প্রায় ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত বলে জানা গেছে। ঘটনার জন্য পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করে। উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে আহতদের তাদের দলীয় নেতা-কর্মী বলে দাবি করে।
পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে প্রথমে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু, পুলিশের হস্তক্ষেপ তেমন একটা কার্যকর রুপ নিতে না পারায় সেনাবাহিনীর সদসরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে পাওয়া খবরে প্রকাশ।
এক পক্ষের নের্তৃত্ব দানকারী সাবেক বিএনপি দলীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এবং গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী নুরুল আমিন’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে- তারা আনন্দ শোভাযাত্রা বের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিপক্ষে থাকা নুরুল আমিন ও বর্তমান রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত হওয়া কমিটির আহবায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরীর নের্তৃত্বাধিন তাদের পক্ষিয়রা হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের আহত করে। অপর দিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও মীরসরাই উপজেলা বিএনপি’র নতুন গঠিত কার্যক্রম স্থগিত হওয়া কমিটির আহবায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী এবং সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী দাবি করে বলেন- নুরুল আমিন চেয়ারম্যান পক্ষিয়রা তাদের বের করা শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের আহত করে।
এ রিপোর্ট পাঠানোর পূর্ব মুহুর্ত্ব (রাত ৯ টা) পর্যন্ত পুরো মীরসরাই ব্যাপী উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে, পরিস্থিতি সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
















