বৈবিছাআ প্রতিনিধি পরিচয়ে প্যাসিফিক জিন্সের এজিএমকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৪

59

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈবিছাআ) প্রতিনিধি পরিচয়ে প্যাসিফিক জিন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আবেদিন আল মামুনকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ হিসেবে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং বাকি ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক নিয়ে ভিকটিমকে নগরের অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটাল এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিমকে তার গাড়ি চালকসহ উদ্ধার করে অভিযান চালায় আকবর শাহ থানা পুলিশ। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement
spot_img

শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ শাখা।
গ্রেপ্তাররা হলেন— উত্তর কাট্টলীর জয়নাল আবেদিনের ছেলে নাজমুল আবেদিন, সিটি গেট এলাকার মাইনুল আমিন পারভেজের ছেলে নইমুল আমিন ইমন (২২), সিডিএ ১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা আরাফাত হোসেন ফহিম (২২) ও রিসতি বিন ইউসুফ (২৩)।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিকস্থ প্রভাতি এলাকার বাসা থেকে আবেদিন আল মামুন নামে একজনকে অপহরণ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তাকে তার নোহা গাড়ি যোগে পতেঙ্গা সাগরপাড় এলাকা, পাহাড়তলীর কর্নেলহাট জোন্স রোড ও আকবরশাহ্ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। এ সময় মামুনের সঙ্গে জিম্মি অবস্থায় ছিলেন তার গাড়িচালক জুয়েলও।

গাড়িতে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে ঘুরতে ভিকটিমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা এবং ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক লিখে নেয় অপহরণকারীরা। টাকা পেয়ে ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যান তারা। পরে খবর পেয়ে পাহাড়তলী জোন পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সামনে থেকে গাড়িসহ আবেদিন আল মামুন ও তার ড্রাইভার জুয়েলকে উদ্ধার করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে পৃথক পৃথক এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার নইমুল আমিন ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণ হিসেবে নেওয়া পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Advertisement
spot_img