স্কাই নিউজকে ড. ইউনূস

শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে

স্কাই নিউজকে ড. ইউনূস

65

ছাত্রজনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস।

Advertisement
spot_img

বুধবার (৫ মার্চ) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। শুধু তিনিই নন, তার এবং তার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্প্রতি আয়না ঘর দর্শনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, আয়না ঘরগুলো যখন আপনি নিজের চোখে দেখবেন এবং নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে, কতটা ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। আয়না ঘরগুলো সেনাবাহিনীর আওতাধীন। তাই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। তবে, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, এগুলো জাদুঘরে রূপান্তরিত করার, যাতে জনগণ সেখানে আসতে পারে এবং ইতিহাস জানতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের প্রায় সবাই এসব অপকর্মে জড়িত ছিল। তাই সহজে আলাদা করে বলা সম্ভব নয় যে কারা এসব মানবতাবিরোধী কাজ স্বতস্ফূর্তভাবে করেছে, আর কারা চাপে করেছে; কিংবা কেউ আসলে তৎকালীন সরকারকে এই কাজে অসহযোগিতা করেছে কিনা।

শেখ হাসিনার বিচারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, তিনি বাংলাদেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই। তাই এখন প্রশ্ন হলো, আমরা তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারব কি না। এটি নির্ভর করছে ভারতের ওপর এবং আন্তর্জাতিক আইনের নির্দেশনার ওপর।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানানো হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তারা কোনো সাড়া দেননি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যাই হোক, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসুক আর না আসুক, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে, তার মধ্যে পুরো বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে স্কাই নিউজকে ড. ইউনূস বলেন, কিছু ব্যক্তি শাস্তি পাবেন, কারও বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আবার কিছু লোককে শনাক্তও করা যাবে না।

Advertisement
spot_img