কী ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিলো খালেদা জিয়ার শরীরে?

61

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং তার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তিনি লন্ডনের একটি নামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিএনপির প্রধান চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার জন্য যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবকে দায়ী করেছেন।

Advertisement
spot_img

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। সেদিন তিনি নিজে হেঁটে আদালতে হাজির হন, পরে রায় শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে, কয়েক মাসের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএসএমএমইউ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি হুইলচেয়ারে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “কারাগারে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া এবং একটি ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে তার লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। লিভারের সিরোসিসের সাধারণ কারণগুলোর সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থা মিলছে না, যা বড় প্রশ্ন তুলছে।”

২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সময় যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে এসে তার লিভারের রক্তক্ষরণ বন্ধে টিপস পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তারা লিখিতভাবে সুপারিশ করেছিলেন, দ্রুত তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো হলে তিনি সুস্থ হতে পারেন। তবে, সে সময় এই সুপারিশ কার্যকর হয়নি।

বর্তমানে, লন্ডনের “ক্লিনিক” নামক বিশ্বখ্যাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া। ৯৩ বছর পুরোনো এই হাসপাতালটি জটিল রোগের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। চিকিৎসকদের মতে, তার শারীরিক অবস্থা জটিল হলেও, উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে তার সুস্থতা সম্ভব।

Advertisement
spot_img