প্রিয়জনকে আজ ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন

111

বহু মানুষের সঙ্গে প্রতিদিন আমাদের সাক্ষাৎ হয়। তাদের ছোট ছোট সহযোগিতায় আমাদের জীবন সুন্দর ও সহজ হয়। কিন্তু আমরা মুখ ফুটে তাঁদের ক’জনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি? কতজনকে বলি, ‘আপনাকে ধন্যবাদ।’ ধন্যবাদ একটি ছোট্ট শব্দ হলেও এর মহত্ব কিন্তু বিশাল। কারও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকালে ধন্যবাদ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

Advertisement
spot_img

যারা ইচ্ছা থাকলেও প্রিয় মানুষকে, বন্ধুকে, মা-বাবাকে, আত্নীয়-স্বজনকে কিংবা অফিসের সহকর্মীকে ধন্যবাদ প্রকাশে ইতস্তত বোধ করেন, আজকের দিনটি তাঁদের জন্য হতে পারে ভালো সুযোগ। কারণ, আজ সবাইকে ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন।

প্রতি বছর ১১ জানুয়ারি ‘আপনাকে ধন্যবাদ‍‍ বা ‍‍‘থ্যাঙ্ক ইউ ডে‍‍’ পালন করা হয়। যে ব্যক্তি সামান্য অবদানের মাধ্যমেও আপনার জীবনকে সুন্দর করে তুলেছে তাঁকে আজ মন খুলে জানিয়ে দিন ‍‍‘থ্যাঙ্ক ইউ’।

বহু মানুষের ছোট ছোট সহযোগিতায় আমাদের রোজকার জীবন সুন্দর হয়, সহজ হয়বহু মানুষের ছোট ছোট সহযোগিতায় আমাদের রোজকার জীবন সুন্দর হয়, সহজ হয়।

দিবসটি প্রচলনের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া যায় শিকাগোর ইভেন্টোলজিস্ট আদ্রিয়েন সিউক্স কুপারস্মিথ -কে। তিনি একাই প্রায় দুই হাজার দিবস তৈরির পেছনে অবদান রেখেছেন। ১৯৯৪ সালে ‘থ্যাংক ইউ ডে‍‍’ এর আইডিয়া নিয়ে নিজের ব্লগে লেখেন তিনি।

এখন আমেরিকাতে অনেকে জানুয়ারির ১১-১৮ অর্থাৎ পুরো সপ্তাহজুড়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। আসলে মানুষ ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ যত বেশি পাওয়া যায় ততোই তো মঙ্গল!

কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, আমাদের বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্যকে ধন্যবাদ জানানোর প্রবণতা একটু কম। আমরা অকারণেই পরিচিত-অপরিচিতদের বাক্যবাণে জর্জরিত করি, কিন্তু এক শব্দের ‘ধন্যবাদ’ বলতে অনেকেই দুইবার ভাবি! অথচ শব্দটি ছোট হলেও এর অবদান কিন্তু অসীম।

এতে নিজের মধ্যে যেমন আত্মবিশ্বাস আসে, তেমনি ঐ পক্ষের মানুষটির সঙ্গেও সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ে। আজ থেকেই ছোট এই অভ্যাসটির চর্চা শুরু করুন। মানুষ হিসেবে আপনার মূল্য কত বেড়ে যাবে কল্পনাও করতে পারবেন না!

Advertisement
spot_img