‘আমরা কোনো দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ভোটে জেতানো বা পরাজিত করার জন্য নামিনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, মানুষ যাকে ভোট দেবে সেই জিতবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আগে “ফেভার” না করলে চাকরি নিয়ে টান পড়তো। অফিসাররা যখন কাজ করত তখন কাউকে কাউকে ফেভার করা কথা বলা হতো। ফেভার না করলে অসুবিধা হতো। সমস্যা হতো। এখন ফেভার করতে গেলে অসুবিধা হবে। আগের অবস্থার এখন পুরো উল্টো।’
বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজার শহরে একটি কনভেনশন হলে ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা ও আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, এখন আর আগের মতো ভোট হবে না। এ ব্যাপারে ‘আমরা সর্তক করে দিচ্ছি, অনড় থাকব। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এবার প্রায় ৭০ হাজার লোকবল ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করা হবে। এর ব্যত্যয় হবে না। গ্রামের কোনো এক জায়গায় সবাইকে একত্রিত করে ভোটার নিবন্ধন করা যাবে না। এত লোকবল কাজ করবে তারপরও যদি নির্ভুল ও সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা আমরা প্রস্তুত করতে না পারি তা হলে দেশের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।’
শ্রীমঙ্গলে ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ শুরু শুক্রবার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব
এমন প্রচেষ্ঠায় আন্তরিকতা রয়েছে উল্যেখ করে সিইসি বলেন, ‘কেবল নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠ, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এজন্য সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।’
এছাড়া প্রবাসী ও রোহিঙ্গা ভোটার, নির্বাচনী আসনের সীমানা নির্ধারণ, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদান ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আগ্রহী করতে প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন এ রকমের অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আমরা তাদের পরামর্শ, মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে বাস্থবায়ন করব।’
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সিলেট অঞ্চল মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক ও সিলেট বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তীর যৌথ সঞ্চলনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মইন উদ্দীন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালক (সিবিটিইপি) মুহাম্মদ মোস্তফা হাসানসহ অন্যান্যরা।