উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিএনপি প্রধান ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি প্রধানের লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার একদিন আগে তাকে নিয়ে কিছু কথা লিখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সেখানে খালেদা জিয়ার প্রশংসা করেন তিনি। বিএনপি প্রধান যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর অগ্রগতি বিনির্মাণে যেন ভূমিকা রাখতে পারেন সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন এই উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘চিকিৎসার জন্য নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেরকম একটা সময়ে আমি উনার সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে যাই।
মুন্সীগঞ্জে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত ১২
একান্তে কথা হয়, কিছুক্ষণ উনার বাসভবনে। বেগম জিয়া গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করেন। জানান সবসময় তিনি খবর রাখেন দেশের।’
‘আমি উনার স্বাস্থ্যের কথা, হাসিনা শাসনামলের দুঃসহ সময়ের কথা জানতে চাই। লক্ষ্য করি তিনি একবারও শেখ হাসিনার নাম নিচ্ছেন না। অবশেষে সরাসরি জানতে চাই: এতো সাফার করলেন আপনি, শেখ হাসিনার ওপর রাগ লাগে না আপনার? তিনি একটু নিরব থাকেন। তারপর ম্লানকণ্ঠে বলেন, রাগ করে কী করবো বলেন! আল্লাহ্-র কাছে বলি।-যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।
খালেদা জিয়ার এমন কথায় অবাক হয়েছেন জানিয়ে আসিফ নজরুল আরও লিখেছেন, ‘আমি অবাকই হই। পনেরটা বছর শেখ হাসিনা কী জঘন্য ও অশ্লীল মিথ্যাচার আর নির্মম নির্যাতন করেছেন বেগম জিয়া’র প্রতি (এবং একইসঙ্গে উনার দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে )! অথচ একটা খারাপ শব্দও তিনি উচ্চারণ করলেন না শেখ হাসিনাকে নিয়ে।’
শেষে বিএনপি প্রধানের লন্ডন যাত্রা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আগামীকাল বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন লন্ডনে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন দেশে। আবার যেনো ভূমিকা রাখতে পারেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর অগ্রগতি বিনির্মাণে।