গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর চট্টগ্রামজুড়ে ‘মামলা বাণিজ্য’ করতে একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেওয়া এবং মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে এই সিন্ডিকেট সদস্যরা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন আসামিদের কাছ থেকে। কোনো কোনো মামলায় নিরীহ লোকজনও ফেঁসে গেছেন। এ কারণে সতর্ক হয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালাতে চায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ চক্রের বিষয়ে নগরবাসীকে সতর্ক করেছেন।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় থাকা বিভিন্ন থানায় সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের হওয়া মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস ও নাম যুক্ত করার হুমকি দিয়ে কতিপয় অসাধু চক্র অন্যায়ভাবে অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিএমপির বিভিন্ন থানায় সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের হওয়া প্রত্যেকটি মামলার তদন্ত পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্বারা কয়েকটি স্তরে তদারকি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওইসব মামলা থেকে অন্যায় ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা থেকে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতারক চক্রের কোনো সদস্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা মাত্র বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অথবা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে অবগত করার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল।
শুক্রবার থেকে চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে শুরু হচ্ছে টোল আদায়
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে অন্তত শতাধিক মামলা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় অনেক সাধারণ মানুষকে আসামি করার অভিযোগ আছে। এসব মামলায় নাম যুক্ত ও বাদ দিতে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।