বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ইসহাক চৌধুরী আলিম বিএনপির রাজনীতিতে ছিলেন একজন ত্যাগী ও সাহসী নেতা। তৃণমূলের রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু করে তিনি নিজেকে মহানগর বিএনপির নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ইসহাক চৌধুরী আলিম একজন কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। তিনি কর্মীদের ডাকে সব সময় সাড়া দিয়েছেন। আলিম অমায়িক আচরণের অধিকারী ছিলেন। এজন্য তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। কোন কর্মীর যে কোন প্রয়োজনে তিনি সবার আগে এগিয়ে যেতেন। তিনি রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পেরেছেন। তিনি সবার হৃদয় জয় করা একজন নেতা ছিলেন। তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তার আদর্শকে ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) বিকেলে নগরীর দক্ষিন বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ চরচাক্তাই স্কুল মাঠে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মরহুম ইসহাক চৌধুরী আলিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ম্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মরহুম ইসহাক চৌধুরী আলিম স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিমের সভাপতিত্বে এবং ইউনুছ চৌধুরী হাকিমের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শামসুল আলম।
মরহুম ইসহাক চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে আমীর খসরু বলেন, আলিম চট্টগ্রামে বিএনপিকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতা ও তার পরিবারকে সইতে হয়েছে সরকারি নানা শারীরিক ও মানসিক জুলুম নির্যাতন। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সকল ধরণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের কঠিন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তিনি সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমান সময়ে তার মত যোগ্য নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে আলিম যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। তিনি শহীদ জিয়ার নীতি ও আদর্শে আস্থাশীল হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে যে অবদান রেখেছেন নেতাকর্মীরা তা কোনোদিন ভুলবে না। মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকেন। আলিমও তার রাজনৈতিক কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। দলের প্রতি তার অবদানকে আমরা আজীবন স্মরণে রাখবো।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য অধ্যাপক নরুল আলম রাজু্র, মো. কামরুল ইসলাম, ইয়াছিন চৌধুরী আসু। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা হাজী নরুল আকতার, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, এম আই চৌধুরী মামুন, হাজী নবাব খান, আকতার খান, আবদুল মান্নান, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, জসিম উদ্দিন, দুলাল সওদাগর, সানাউল কাদের সানি, আবদুল কাইয়ুম জয় প্রমূখ।