বিপিএলের ১১তম আসর

রিয়াদ-ফাহিমের তাণ্ডবে দাপুটে জয় বরিশালের

বিপিএলের ১১তম আসর

54

বিপিএলের ১১তম আসর শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই আলোচনায় ছিল দুর্বার রাজশাহী। কারণ, নামটা দুর্বার রাজশাহী হলে দলে কোনো বড় তারকা না থাকায় দর্শকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছিল দুর্বল রাজশাহী নামে। মাঠেও তার প্রমাণ দিল তারা।

Advertisement
spot_img

উদ্বোধনী ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে আশা জাগালেও বোলিংয়ে হতাশ করেছে হাসান-তাসকিনরা। ভালো শুরুর পর পথ হারিয়ে বরিশালের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রাজশাহী।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ১৯৮ রানের বড় লক্ষ্য দেয় রাজশাহী। জবাব দিতে নেমে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। এতে জয় দিয়ে আসর শুরু করল বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। এদিন ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অপর প্রান্ত থেকে ৫ বলে ৭ রান করে তাসকিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। এতে দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি কাইল মায়ার্সও। ৫ বলে ৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। পরে অভিজ্ঞ মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনেরই কেউই।

১১ বলে ১৩ রান করে মুশফিক আউট হলে ২৩ বলে ৩২ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন হৃদয়। এতে দলীয় ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে বরিশাল। তবে সপ্তম উইকেটে ব্যাট চালাতে থাকেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বলে ২৭ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই পাক ক্রিকেটার।

তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। হাসান মুরাদের বলে টানা তিন ছক্কা হাকিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।

১৭তম ওভারে লাহিরুকে ৩ ছক্কা হাকিয়ে রাজশাহীর কাছ থেকে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ফাহিম। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাকিয়ে ২১ বলে ফিফটি পূরণ করেন এই পাক ব্যাটার। এতে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়াও হাসান মুরাদ দুটি এবং জিশান আলম নেন এক উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পায় রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির আলী। বিজয় করেছেন ৬৫ রান।

Advertisement
spot_img