চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (উপসচিব) কাজী নাজিমুল ইসলাম বলেছেন,আশা প্রথম থেকে মেহনতী মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।আশার শিক্ষা,স্বাস্থ্য,ক্ষুদ্র ঋন মানুষকে সফলতার পদ দেখাচ্ছে।তাদের এসব কার্যক্রমকে গ্রামে আরো বেশী ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
তিনি অদ্য ৩০ ডিসেন্বর সোমবার চট্টগ্রাম জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে আশা’র সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ষ্টেশন রোডস্থ দি এলিনা হোটেল চট্টগ্রামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচি । আশা—চট্টগ্রাম বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার এমএম নফিজ মাহমুদের সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় আশা’র কার্যক্রম উপস্থাপন করেন মোঃ সাইদুল ইসলাম চৌধুরী সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার, আশা—চট্টগ্রাম বিভাগ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ নজরুল ইসলাম এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার, আশা—চট্টগ্রাম বিভাগ। উপস্থিত ছিলেন ডিএম, আরএম, এসই ও বিএমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচি বলেন,এখানে বসে মতবিনিময় করলে হবেনা আশার সেবার মান গ্রামের হত দরিদ্র নারী পুরুষের কাছে পৌঁছায় দিতে হবে। বিগত সরকার এনজিওর নাম দিয়ে কোটি কোটি টাকা বিদেশে প্রচার করেছে। তিনি আশাকে বাস্তবধর্মী কিছু পদক্ষেপ করার আহ্বান জানান।
আশা চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৭টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার সদস্যকে ঋণ সেবা প্রদান করছে যাদের নিকট ঋন স্থিতি ১ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। ২০২৪—২৫ অর্থবছরে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। আশা—চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০৯টি কেন্দ্রে ২৩৭৩৭জন শিক্ষার্থী নিয়ে আশা—প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে । ০৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৯৭৯৭জন রোগী সেবা গ্রহণ করেন। ০২টি ফিজিওথেরাপী সেন্টারের মাধ্যেমে ৮০৮৫জন অপারেশন বিহীন হাঁটু—কোমর—ঘাড়—হাতে ব্যাথা, প্যারালাইসিস, আথ্রাইটিস্, ডিস্ক প্রলেপসহ সকল প্রকার জয়েন্টের সমস্যার চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সদস্যর বীমাদাবি পরিশোধ করা হয়েছে ১৯৭৭ জন ৮.৩১কোটি টাকা, সদস্যকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে ১১৯জন ৪ লক্ষ টাকা। সদস্যর মৃত্যুজনিত দাফন—কাফনে ৫০০০ টাকা করে ৬১৯ জনকে ৩০লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান, ৩৪ জনকে ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এককালীন অবসর ভাতা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নিকট শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে ২০৬০টি। প্রতিমাসে ৭জন গরীব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীকে ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়াও সরকারী সকল দিবসে আশা’র প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করে থাকেন।