চট্রগ্রাম অঞ্চল নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং দেশটির কিছু রাজনৈতিক নেতাদের আগ্রাসী মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, “স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আওয়ামী দোসর ব্যতীত পুরো বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ। বীর চট্টলার দিকে ভারতীয় কিছু সস্তা মিডিয়া এবং চতুর্থ শ্রেণির নেতারা লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে। এসব গেরুয়া সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় নয়। এদের দেশীয় জারজ সন্তানদের কারণেই আইনজীবী সাইফুলকে শহীদ হতে হয়েছে। আমরা চট্টগ্রামের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড়টাও উপড়ে ফেলতে চাই।”
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন -এনডিএম চট্টগ্রাম মহানগর কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন ববি হাজ্জাজ।
এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জনসংযোগ এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এমরান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় ববি হাজ্জাজ বলেন, “সচিবালয়ের নাশকতায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে একদিনের মাথায় বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের ঘটনা প্রমাণ করে সরকার এখনো প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে নাই। এই অগ্নিকান্ডের পরেই আওয়ামী লীগের বিবৃতি, পলাতক খুনি জাহাঙ্গীর কবির নানকের ফেসবুক লাইভ বলে দিচ্ছে পরিকল্পিতভাবে হাসিনার দোসররা এই অগ্নিকান্ডের সাথে জড়িত।”
প্রশাসনে আওয়ামী দৌরাত্ম কমে নাই মন্তব্য করে ববি হাজ্জাজ বলেন, “২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচনে যারা জেলা প্রশাসক -বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন তাঁদের এখনো স্বপদে বহাল রাখাই প্রমাণ করে জনপ্রশাসন এখনো আওয়ামী দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। এদের সাহস হয় কিভাবে চাকুরীতে থেকে জনপ্রশাসন সংষ্কার কমিশনের প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে আল্টিমেটাম দেবার? ”
তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাসেল-রাফি-ওয়াসিমদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিলো আমরা তা গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। বীর চট্টলা আমাদের কখনোই হতাশ করে নাই। এই চট্টগ্রামে আর কখনো নওফেল-নাসিরদের মত সন্ত্রাসী-লুটেরাদের স্থান হবে না। এই চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দেশের সবচেয়ে বড় কওমি মাদ্রাসার সামনেই মন্দিরের সহঅবস্থান প্রমাণ করে বাংলাদেশে কোন ধর্মীয় সংঘাত নেই।”
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা আদনান সানি, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি, চট্টগ্রাম মহানগর এমডিএমের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, মহানগর দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মো: ইকবাল, উত্তর জেলা সভাপতি সুমন দাশ বিজয়, কক্সবাজার জেলা সভাপতি এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, মিনহাজ উদ্দিন, সাজ্জাদুল করিম, নাছির উদ্দিন, প্রদীপ দত্ত, মিজানুর রহমান, মাসুদ রানা জুয়েল, শাহারাফুল ইসলাম বাবু, ওয়াহিদ হৃদয়, আবদুল হামিদ, সামশুন্নাহার সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।