কোটিপতি মডেল জারার গল্প শুনে তাজ্জব বনে যাবেন

160

অনলিফ্যানস লন্ডনে অবস্থিত একটি পরিষেবা। পরিষেবাটি যৌনকর্মীদের কাছে জনপ্রিয়, যারা পর্নোগ্রাফি তৈরি করে। অনলিফ্যানস মডেল হওয়ার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি ছেড়ে দিয়েছেন ইউটিউবার জারা ডর। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করতেন। এই ইউটিউবার অনলিফ্যানসে ক্যারিয়ার স্থানান্তরকে একটি জুয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Advertisement
spot_img

জারার গল্প শুনে তাজ্জব নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুললেন তার সিদ্ধান্ত নিয়ে। এক্স হ্যান্ডেল যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে এক ব্যক্তি একটি ভিডিও পোস্ট করেন জারা ডরের। সেখানে জারাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি আমার পিএইচডি ছেড়ে দিয়েছি। পিএইচডি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি ভীষণ কেঁদেছি। ভীষণই। আমি যে বিষয়টা নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম সেটা কিন্তু নয়। কিন্তু আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন আর স্ট্রেসের ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এসবে আরও কিছু পর এসেছি। কিন্তু অনলিফ্যানস এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন করতে শুরু করলাম যখন- পুরোদমে তখন সেটা কেবল একটা ক্যারিয়ার চয়েজ ছিল না আমার জন্য। ব্যাপারটা অনেকটাই জুয়া খেলার মতো ছিল, তাও আমার গোটা জীবন এবং তার অভিমুখ নিয়ে।’

তিনি বলেন, ‘আমি একটি ভিডিও তৈরি করে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করি। ভিডিওর শেষে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অধ্যাপক বিভিন্ন গবেষণাপত্র লেখে বছরে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেন।

এই ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, ‘জনপ্রিয় ইউটিউবার জারা ডর তার পিএইচডি ছেড়ে অনলি ফ্যানসের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন তাও ফুল টাইমার হিসেবে। উনি সাধারণত নিউট্রাল ওয়ার্কস, মেশিন লার্নিং এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল জিনিসপত্র নিয়ে ভিডিও বানাতেন। এবার একেবারেই অন্য ধরনের জিনিস নিয়ে ভিডিও বানাবেন। আপনাদের কী মত?’

কেউ কেউ ভিডিওতে মন্তব্য করেন জারার এই সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক নয়। কেউ আবার ভিডিওতে তার পোশাককে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘জামাকাপড় দেখে বোঝাই যাচ্ছে কেমন ভিডিও বানাবেন।’ তৃতীয় জন লেখেন, ‘খুব সাধারণ চয়েজ। নিজেকে মিডিওকার (খুব ভালো নয়, মাঝারি মানের) প্রমাণ করলেন।’

Advertisement
spot_img