চট্টগ্রাম বাসীকে পরিকল্পিত শহর উপহার দিতে চাই: মেয়র ডা. শাহাদাত

63

দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর নগরায়নের চাপে থাকা চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আর এ জন্য নগরবাসীর সহায়তা চান মেয়র।
শুক্রবার চিটাগাং পুলিশ ইন্সটিটিউশনের সিএমপি স্কুল এন্ড কলেজ এস. এস. সি ১৯৯৯ ব্যাচের আয়োজনে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৪ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, শিল্পায়ন ও নগরায়নের চাপ সামলানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সুপরিকল্পনার অভাবে চট্টগ্রামের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও চট্টগ্রাম এখন জলাবদ্ধতা, বর্জ্য আর যানজটে ভুগছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণের সহায়তা চাই। চট্টগ্রামকে সুন্দরভাবে সাজানোর চেষ্টা করছি। সেজন্য আপনার আমাকে রাস্তায় রাস্তায় দেখছেন। আগে যারা ছিল তারা হয়তো রাস্তায় রাস্তায় আসতো না। কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি রাস্তায় আসতে।
“জনগণের খেদমত করতে এখানে এসেছি। আমি আগেও বলেছি আমি কোন জনগণের পিতা নয়; জনগণের সেবক হতে এসেছি। আমি নগর পিতা নয়; নগরের সেবক হয়ে কাজ করতে এসেছি। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে কোন জনদুর্ভোগ দেখলে; সেটা রাস্তা হোক, ময়লা হোক, ডাস্টবিন হোক, মশা হোক বা অন্য কিছু হোক আপনার আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। আমি মনিটরিংয়ের মধ্যে আছি এবং সেটা সবসময় থাকব। ইনশাল্লাহ আমি আশা করছি জনগণকে নিয়ে আমি একটি ক্লিন, গ্রীন, হেলদি চট্টগ্রাম সিটি চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিব।”
সুস্থ বিনোদনের সুযোগ বাড়াতে কাজ চলছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি চসিকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প নিচ্ছি নাগরিকদের সুস্থ বিনোদন সুবিধা বৃদ্ধিতে। এছাড়া রেলওয়ে, গণপূর্তসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর সাথেও ভূমি বরাদ্দের জন্য যোগাযোগ করেছি। আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, জিয়া শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি বিপ্লব উদ্যানে একটা স্ট্রাকচার করা হচ্ছিল সেটি ভেঙে গ্রীন পার্ক করার উদ্যেগ নিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি শিশুদের খেলার অধিকার নিয়েও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। টার্ফ গড়ে উঠার কারণে অস্বচ্ছল ঘরের ছেলেরা খেলতে পারছে না। এ কারণে আমার ইচ্ছা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নিশ্চিত করা। শিশুদের খেলার মাঠে ফিরাতে পারলে মাদক সমস্যা, কিশোর গ্যাং কমে আসবে। আমার ইচ্ছা নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, ওয়াকিং স্পেস ও শিশুপার্ক গড়ে তুলব। খেলার মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা শিশুদের শরীর চর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

Advertisement
spot_img
Advertisement
spot_img