ভয়ংকর মাদকে আসক্ত নাট্যাভিনেত্রী তিশা-টয়া-সাফা

45

মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় তিন নাট্যাভিনেত্রী তানজিন তিশা, সাফা কবির ও মুমতাহিনা চৌধুরী টয়ার বিরুদ্ধে। শুধু এই অভিনেত্রীরাই নন, এই মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে সুনিধি নায়েক নামে কলকাতার একজন গায়িকার বিরুদ্ধেও। এইরমধ্যে তাদের এই মাদক সম্পৃক্ততা ঘিরে বিশেষ অনুসন্ধান চালাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারকোটিক্স। এই বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়েও।

Advertisement
spot_img

নারকোটিক্স বলছে, মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে গত ১৭ অক্টোবর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি ও কুসসহ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে নারকোটিক্সের একটি বিশেষায়িত টিম দীপকে ২ দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মৌখিক স্বীকারোক্তির একপর্যায়ে দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং পরীক্ষা করা হয়। আর দীপের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নামে সেভ করা কয়েকটি নম্বর থেকে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে নম্বরগুলো যাচাই করে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট নম্বরগুলো সাফা কবির এবং টয়ার নামেই রেজিস্ট্রেশনকৃত। তবে তানজিন তিশার নম্বরটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তার মা উম্মে সালমার নামে।

এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়। এতে দেখা গেছে, ২৩ এপ্রিল সাফা কবির তার মোবাইল নম্বর থেকে ৩টি এমডিএমএ অর্ডার দেন। আর ৫ সেপ্টেম্বর আরেক চ্যাটিংয়ে মাদকের অর্ডার দেন অভিনেত্রী টয়া। তানজিন তিশা এবং সংগীত শিল্পী সুনিধি নায়েকেরও চ্যাটিং রেকর্ড রয়েছে। আর কথোপকথনে তারা তাদের কেউ কেউ সাংকেতিক ভাষাও ব্যবহার করেছেন।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন জানান, দীপকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে কয়েকজন প্রথমসারির অভিনেত্রী ও মডেলের মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Advertisement
spot_img