অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের নিচে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধে যুগান্তকারী পদক্ষেপ

76

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি যুগান্তকারী বিল পাস হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে, টিকটক, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হবে।বিলটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শিশুদের সুরক্ষার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ বলে আইন প্রণেতারা দাবি করেছেন।

Advertisement
spot_img

বুধবার (২৭ নভেম্বর)অস্ট্রেলিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বিপুল (১০৩-১৩ ভোটে)সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আইনটি পাস করেছে,যা ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের সুরক্ষার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই বিল অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মগুলো যদি নিষেধাজ্ঞা মানতে ব্যর্থ হয়,তবে তাদের ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।সিনেটে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকায় এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।তবে আইনটি কার্যকর করতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর এক বছর সময় দেওয়া হবে।

আইনটির সমর্থকরা বলছেন,এটি শিশুদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়।তবে,কিছু বিরোধী আইনপ্রণেতা এবং মানবাধিকার সংগঠন যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার কমিশনার লরেন ফিনলে আইনটির সমালোচনা করেছেন।তাদের মতে, এটি দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

বিরোধী আইনপ্রণেতা জোই ড্যানিয়েল পার্লামেন্টে বলেন, “এই আইন বাস্তব সমস্যা সমাধান না করে শুধুমাত্র অভিভাবক ও ভোটারদের সন্তুষ্ট করার একটি উপায় মাত্র।” অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রাইভেসি কমিশনার কার্লি কিন্ড বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না করে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন করা সম্ভব।”

সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার এই উদ্যোগ শিশুদের সুরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন। তবে,এটি কার্যকর করতে হলে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং বাস্তবায়নের সঠিক পদ্ধতি নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন।তবে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিকগুলি কমিয়ে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে এই আইনটি একটি আশাবাদী পদক্ষেপ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

Advertisement
spot_img