পাকিস্তান থেকে সেই জাহাজে কী এসেছে, জানা গেল

43
পাকিস্তানের করাচি থেকে ৩৭০টি কন্টেইনারবাহী একটি জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশে এসেছে। স্বাধীনতার পর প্রথমবার গত ১৩ নভেম্বর ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, পণ্য খালাসের পরের দিনই জাহাজটি বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটির পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া।

Advertisement
spot_img

ওই জাহাজের কন্টেইনারে কী এসেছে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে।

জাহাজটিতে যা এসেছে

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক  বলেন, ‘আমাদের কাছে ৩৭০টি কন্টেইনার আসছে। সেগুলোর মাঝে কী আছে, তা কাস্টমস বলতে পারবে।’

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ফ্রেবিকস, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট, ডলোমাইট আছে।’

ওই পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। এর মধ্যে ১১৫ কন্টেইনারে রয়েছে সোডা অ্যাশ। ডলোমাইট রয়েছে ৪৬টি কন্টেইনারে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কন্টেইনারগুলোর মধ্যে বেশিরভাই টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল। এর মধ্যে আরেও আছে, কাঁচ শিল্পের কাঁচামাল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, রং, কাঁচামাল কাপড়। ৪২টি কন্টেইনারে রয়েছে পেঁয়াজ। ১৪টি কন্টেইনারে রয়েছে আলু।

এসব পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশের আজিক গ্লাস কারখানা, প্যাসিফিক জিনস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, নাসির গ্লাস, এক্স সিরামিকস, হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান।

পাকিস্তান থেকে জাহাজে লোড হয়েছে ২৯৭টি কন্টেইনার, বাকিগুলো লোড হয়েছে দুবাই থেকে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে খেজুর, মার্বেল ক্লক, কপার ওয়্যার, জিপসাম, লোহার টুকরো। একটি কন্টেইনারে অ্যালকোহল জাতীয় পণ্যও রয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান থেকে খোলাভাবে পণ্য আগেও আসত, এখনো আসে। সেগুলো তৃতীয় দেশের বন্দরে নামানোর পর জাহাজ বদল করে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু পাকিস্তান থেকে সরাসরি কন্টেইনারে করে এই প্রথম এসেছে। এগুলো সিলড উইথ কার্গো, মানে এগুলো মালপত্র বোঝাই।

Advertisement
spot_img