জাতীয় নাগরিক কমিটি চট্টগ্রাম

শেখ হাসিনা খুনি ও গণহত্যাকারী

জাতীয় নাগরিক কমিটি চট্টগ্রাম

94

জাতীয় নাগরিক কমিটি চট্টগ্রামের উদ্যোগে “গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা: কেমন বাংলাদেশ চাই?”- শীর্ষক মতবিনিময় সভা ১৬ নভেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement
spot_img

উক্ত মতবিনিময় সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান আলী, এসএম সুজা, সাগুফতা বুশরা মিশমা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নাগরিক কমিটি চট্টগ্রামের লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ নানা পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় ইমন সৈয়দের উপস্থাপনায় শুরুতেই জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরিচয় পর্বের পরে নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান আলী স্বাগত বক্তব্যে মতবিনিময় সভার প্রাসঙ্গিকতা ও লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম সুজা বলেন, শেখ হাসিনা খুনি ও গণহত্যাকারী। যতদিন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচার না হবে ততদিন শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না। তাই এই বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা থামবো না। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে এই দেশ আবার স্বাধীন করেছে। তাই ভবিষ্যতে এখানে কোন মাস্তানি চলবে না। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদ হটিয়েছি। তাই নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদীদের ক্ষমার কোন প্রশ্নই আসে না।

সভায় শিক্ষক মুহাম্মদ ফরহাদ চট্টগ্রামকে কীভাবে গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি ঢাকাকেন্দ্রিক অধিক উন্নয়নের মানসিকতার সমালোচনা করে বিকেন্দ্রীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের উপযোগিতা রক্ষা এবং শহরের কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করেন আর্টিস্ট মেরুন হরিয়াল। তিনি চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বিজয়মেলা, ব্যান্ডসঙ্গীতসহ ইত্যাদি বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেন।

মুহাম্মদ ইরফান বলেন, বাহাত্তরের বাকশালী সংবিধান বহাল রেখে বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি অসম্ভব।

সভায় সব্যসাচী জহির গণঅভ্যুত্থান ও পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “জনগণই ঠিক করে দিবে সরকার কী কী করতে পারবে এবং পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান ফ্যাসিবাদ তৈরির সংবিধান। এই সংবিধান বাতিল করে জনগণের অভিপ্রায়ে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।”

সভায় মুনতাসির মাহমুদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশার দিকগুলো আলোচনা করেন। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষাঙ্গনে দলীয় প্রভাব হ্রাস, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কারিগরি শিক্ষা প্রসার, গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার সমতা নিশ্চিতসহ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।

উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সাগুফতা বুশরা মিশমা।

Advertisement
spot_img