আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও অভিনেত্রী শমী কায়সার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যারচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেলে দুই জনকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন দুজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে দুইজনের পক্ষেই জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৬ নভেম্বর তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ৫ নভেম্বর দিনগত রাতে শমী কায়সারকে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর কৌশিক হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ৪ নভেম্বর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তা হাজির না থাকায় রিমান্ড শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন শুনানি শেষে দুইজনের রিমান্ড মনজুর করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
উত্তরা পূর্ব থানাধীন চার নম্বর সেক্টরস্থ আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়।