বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম উত্তর জেলার নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করা শুরু করেছিল ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরবর্তী থেকে। ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের মূল স্বাধীনতার ভিত্তি এবং বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়ার দিন ছিল। ৭ নভেম্বর থেকেই বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক মেজর জিয়াউর রহমান। প্রকৃত পক্ষে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নেতৃত্বেই আধুনিক বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল। তিনি গতকাল সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় উত্তর হাটহাজারী ৮০/৯০ দশকের বিএনপির প্রবীন নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। প্রবীন বিএনপি নেতা ও স্বাস্থ্য বিভাগের অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওবাইদুল আকবরের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন বিএনপি নেতা মোঃ সুলতানুল আলম চৌধুরী, সাবেক শিক্ষক ও ওলামা দলের সাবেক সভাপতি মাওলানা নুরুল আবসার আনসারী, সৈয়দ মুহাম্মদ খোরশেদুল আলম, সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা আমির হোসেন বাচা, বিএনপি নেতা হাজী মুহাম্মদ আবুল বশর, বিএনপি নেতা মোঃ শফি রিজুওয়ান, মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, মোঃ আব্দুল মোনাফ, মুহাম্মদ আব্দুস শুক্কুর, মোঃ আইয়ুব, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ নাছির উদ্দিন, মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ শামসুল আলম, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ জামাল উদ্দিন নেতৃবৃন্দ। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের মূল চেতনা ভূলন্ঠিত হয়েছিল। ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ একটি দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এ স্বাধীনতাকে ধরে রাখার জন্য এ গণআন্দোলনে যারা আত্মহুতি দিয়েছে, যাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট/অবৈধ সরকারের নির্মূল হয়েছে তাদের রক্তের সাথে যারা বেঈমানী করবে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু হিসেবে পুনরায় বিবেচিত হবে। তাই আগামী দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব ধারণ এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কাঠামো পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করে জনগণের আকাঙ্খা পূরণের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় বক্তাগণ আরও বলেন, আগামীতে চট্টগ্রাম-৫ সংসদীয় আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন যাকে দেওয়া হবে তার জন্য সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রচ্ছদ প্রেস বিজ্ঞপ্তি উত্তর হাটহাজারী প্রবীন বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনায়-মাসুম