রাষ্ট্রপতি জিয়ার সততা ও দেশপ্রেম এক অনন্য দৃষ্টান্ত .সালাউদ্দীন আলী

108

আজ বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে নাংগলমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
সকাল চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মানিত আহবায়ক আলহাজ্ব সালাউদ্দীন আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাংগলমোড়া ইউনিয়ন বি এন পি র যুগ্নআহবায়ক গাজী মোরশেদুল আলম, নাংগলমোড়া ইউনিয়ন বি এন পি র যুগ্নআহবায়ক মোহাম্মদ আজম মেম্বার, নাঙ্গল মোড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য
মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন, নাংগলমোড়া ইউনিয়ন বি এন পি র আহবায়ক কমিটির সদস্য শফিউল আলম বাবু, নাংগলমোড়া ইউনিয়ন
বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আকতার হোসেন ভূট্টো মেম্বার, ইউনিয়ন বিএনপি
সদস্য গাজী শাহেদুল করিম, উপজেলা যুবদলের যুগ্নআহবায়ক গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্নআহবায়ক মোহাম্মদ
মামুনুর রশিদ মামুন মেম্বার, মাষ্টার আজম, যুবদল নেতা ইমরান, নেছার উদ্দিন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আল হেলাল,
রাকিব চৌধুরী, সাকিব, ইমরান হোসেন মাসুদসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ এসময় সালাউদ্দিন আলী বলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক, স্বাধীনতার ঘোষক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম
সেক্টর কমান্ডার হিসেবে তার পরিচিতি হলেও বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসেও তিনি রেখে যান এমন কিছু কীর্তি, যা তাকে ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবং বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোন সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান তার এই কীর্তিকে অতিμম করে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জিয়াউর রহমানের ছিল দুঃসাহসিক ভূমিকা।শেখ মুজিব বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্রকে যখন হত্যা করে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল তখন জিয়াউর রহমানই আলোর বর্তিকা হয়ে গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তার সাথে সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমান রেখে গেছেন সততা ও দেশ প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। একজন প্রকৃত নেতার মধ্যে অনেক গুণাবলি থাকা আবশ্যক। তার মধ্যে দেশপ্রেম ও সততা অন্যতম। দেশপ্রেম ও সততা শব্দ দুটি একে অন্যের পরিপূরক। এই সততা ও দেশপ্রেমের কারণেই শহীদ
জিয়া এদেশের মানুষের প্রিয় নেতা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আপদ মস্তক সৎ ও দেশ প্রেমিক রাষ্ট্র নায়ক। সততা আর দেশপ্রেমই ছিল জিয়াউর রহমানের মূল শক্তি।
সালাউদ্দিন আলী আরো বলেন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়েছেন। জাতির মধ্যে একটি নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তাদেরকে জাগিয়ে তুলতে তিনি সফল হয়েছিলেন। তার স্বল্পকালীন শাসনকার্য পরিচালনায় তিনি যে গভীর দেশপ্রেম, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন আজ ও তার সমকক্ষ কেউ হতে পারেনি। এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধী ও কট্টর সমালোচকরাও শাহাদাতের পর তার সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ কারণেই এ দেশের জনগণের অন্তরে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। ব্রিটেনের বিশ্বখ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আয়রন লেডি’ নামে খ্যাত ব্যারোনেস মার্গারেট থ্যাচার তাঁর মৃত্যুর আগে অনুরোধ রেখে গিয়েছিলেন যেন তাঁর অন্তোষ্টিμিয়ায় স্কটল্যান্ডের দেশপ্রেমিক কবি রবার্ট বার্নসের একটি গান পরিবেশিত হয়। সেটি ছিল, ‘আই পে জ টু দ্য, মাই কান্ট্রি’। অর্থাৎ ‘হে আমার দেশ, আমি তোমার কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম’। বাংলাদেশের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির কাছে সেভাবেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন, তাঁর প্রিয় গান ছিল, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ/জীবন বাংলাদেশ, আমার মরণ বাংলাদেশ’। এ গানটি তাঁকে উদ্বুদ্ধ করত। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যেন সমগ্র জাতিও এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সেবায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রানিত হয়েছি।

Advertisement
spot_img
Advertisement
spot_img