চকবাজার এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, সারাদিন অটোরিকশার জটলা লেগেই থাকে। সেখানকার বাস ও মোটরসাইকেল চালকরা বলছেন, ধীরগতির এসব যানবাহনের কারণে প্রধান সড়কটিতে হরহামেশা দুর্ঘটনা ঘটছে। মোটরসাইকেল চালক সাগর বলেন, সবসময় উল্টো পথে আসে রিকশাগুলো। কোনো প্রকার সতর্কতা ছাড়াই শাখা সড়ক থেকে উঠে যায় মূল সড়কে। যেখানে সেখানে যাত্রী উঠাচ্ছে, নামাচ্ছে। মাঝেমধ্যেই মোটরসাইকেলের সঙ্গে এসব রিকশার দুর্ঘটনা ঘটছে। মূল সড়ক থেকে ধীরগতির যান তুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
তবে অটোরিকশা চালকদের অনেকের দাবি, কিছু অনভিজ্ঞ চালক আছেন, যারা এ কাজগুলো করেন। তারাই বেশি ভাড়ার লোভে মূল সড়কে উঠে যান। তাদের কারণে অন্য চালকদেরও অভিযোগের মুখে পড়তে হয়। এসব চালকের কারণে সাধারণ চালকদের মোটর ও রিকশা ডাম্পিংয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন মোটর খুলে নিয়ে যায় ট্রাফিক পুলিশ। পরে আর ফেরত দেয় না। একটা মোটরের দাম চার-পাঁচ হাজার টাকা। এ জন্য অনেকেই মূল সড়কে যান না। তবে যাত্রীদের অনেকে রিকশাচালকদের মূল সড়কে উঠতে উৎসাহিত করেন।
মাহফুজ নামের একজন রিকশাচালক বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দাম কম, আয়ও ভালো। চট্টগ্রামে এসেই অনেকে রিকশা চালানো শুরু করে দেয়। অনেকেই বেশি টাকার জন্য বেপরোয়াভাবে চালায়। তারাই দুর্ঘটনা ঘটায়। ট্রাফিক পুলিশ মূল সড়কে রিকশা ধরা শুরু করলে একজন চালক অন্যদের সতর্ক করে দেয়। ফলে এসব যান ঠেকানো যায় না। সরেজমিন ঘুরে ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম সহ জেলার দুই ধরনের রিকশা চলাচল করে, যার মধ্যে একটি ছোট ব্যাটারিচালিত রিকশা। যেগুলোতে দু-তিনজন বসতে পারে। আরেকটি বড় অটোরিকশা, যেগুলোতে পাঁচ-ছয়জন বসতে পারে। দিনের শুরুতে সাধারণত বড় অটোরিকশাগুলো মূল সড়কে উঠে না। তবে সন্ধ্যার পরই দুই ধরনের রিকশাই মূল সড়কে দাপিয়ে বেড়ায়।
কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা বলেন, আমরা তো উনাদের (রিকশাচালকদের) জরিমানা করি না। বারবার বুঝিয়ে বলি। তারপরও আমাদের ফাঁকি দিয়ে তারা উল্টো পথে এবং মূল সড়কে চলাচল করে।