ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্পেনের রদ্রিগো হার্নান্দেজ

115

২০২৪ সালের বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো হার্নান্দেজ। এর মধ্য দিয়ে ছেলেদের ফুটবলে ৬৪ বছর পর কোনো স্প্যানিশের হাতে উঠল ব্যালন ডি’অর। তাকে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই গোল্ডেন বল তুলে দিয়েছেন ১৯৯৫ ব্যালনজয়ী ফরোয়ার্ড জর্জ উইয়াহ।

Advertisement
spot_img

বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতেলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এক্ষেত্রে রদ্রি পেছনে ফেলেছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিনিসিয়ুস জুনিয়রসহ শর্টলিস্টে থাকা ২৯ তারকা ফুটবলারকে। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর জুরি বোর্ডে স্বাভাবিকভাবে এই স্প্যানিশ তারকাই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। এরপর ভোটের নিরিখে যথাক্রমে অবস্থান ভিনিসিয়ুস, দানি কারভাহাল, জ্যুড বেলিংহ্যাম, আর্লিং হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপে ও লাউতারো মার্টিনেজের।

ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন ২৮ বছর বয়সী রুদ্রি। এসিএল চোটে বর্তমানে মাঠের বাইরে রয়েছে ডিফেন্সিভ এ মিডফিল্ডার। ক্রাচে ভর দিয়ে মঞ্চে ওঠেন ব্যালন ডি’অর নিতে।

রদ্রি গত মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৬৩টি ম্যাচ। যেখানে গোল করেছেন ১২টি ও অ্যাসিস্ট ১৬টি। ওই মৌসুমে তার দখলে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও স্পেনের জার্সিতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ক্লাব আর জাতীয় দলে সমান পারফরম্যান্সের বিচারেই ব্যালন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন রদ্রি।

ফুটবলারদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার হলো ব্যালন ডি’অর। ফুটবল বিষয়ক সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এই সম্মাননা দিয়ে থাকে। ১৯৫৬ সালে এটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। এবার হলো ৬৮তম ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান।

প্রসঙ্গত, গত দুই দশক রাজত্বের পর এবার প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অরের তালিকায় ছিলেন না দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

Advertisement
spot_img