বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট সময়কালে গণহত্যার ঘটনায় তথ্য চেয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বিচার কার্যক্রম শুরুর একদিন পরেই এই গণবিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হলো।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর মাজহারুল হকের সই করা এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলসমূহ, সহযোগী সংগঠন, অনুগত বা নিযুক্ত অবৈধ অস্ত্রধারী, অপরাধী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর জখম, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ এবং অন্যান্য অপরাধ সংঘটন সংক্রান্তে কারো কাছে কোনো তথ্য, ডকুমেন্ট, ছবি, অডিও/ভিডিও ক্লিপ ইত্যাদি থাকলে তা উক্ত অপরাধ প্রমাণের জন্য ব্যবহার করার লক্ষ্যে তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এ সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর আগে আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।
হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন আমলের সব হত্যা, গণহত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, পিলখানা হত্যার বিচারের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ওইদিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে এই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।