বিচারপতি নিয়োগের সমালোচনা ব্যারিস্টার খোকনের

59

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে নীতিমালা করা উচিত ছিল। বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা তৈরির আগে হাইকোর্টে ২৩ বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া উচিত হয়নি। আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপতি নিয়োগের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

Advertisement
spot_img

খোকন বলেন, সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারত। যে ২৩ জন বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন, এদের অনেককেই চিনি। যারা সুপ্রিম কোর্টে ভালো প্র্যাকটিস করেন। আবার অনেককে চিনি না। এর মধ্যে দুই একজন এমনও আছেন যারা ৩ বছরে মাত্র একটি মামলা করেছেন।

এর আগে বুধবার বেলা ১১ টায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ জন বিচারপতির শপথ নেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।

আইন সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ (তেইশ) জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ হতে অনধিক ২ (দুই) বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।

Advertisement
spot_img