দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

108

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, মজলুম সাংবাদিক এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কেবল একজন সাংবাদিক নন বরং সকল নির্যাতিত সাংবাদিকদের প্রতিনিধি। তার বিরুদ্ধে ১২৪টি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং দেশের ক্রান্তিকালে একাই লড়ে গেছেন। তিনি চাইলে আজ ক্ষমতা ব্যবহার করে জামিন নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এ দেশে শুধু মাহমুদুর রহমান নয়, যে সব সাংবাদিক সত্য লিখতে গেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার তাদেরকে মামলা দিয়ে দমন করেছে। যে সব সাংবাদিকরা ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নিয়েছিল, তারা মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

Advertisement
spot_img

মজলুম সাংবাদিক এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে যে মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। একজন দলীয় বিচারকের কাছে ন্যায়বিচার পাননি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মাহমুদুর রহমান। এ কারণে অতিদ্রুত মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেওয়াসহ আমার দেশ পত্রিকার উপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে তা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

তিনি আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, (সোমবার) সকাল ১১টা ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব, চট্টগ্রামের উদ্যোগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব, চট্টগ্রামের প্রকৌশলী সেলিম মোহাম্মদ জানে আলমের সভাপতিত্বে, তিনি বলেন, এ দেশে মাহমুদুর রহমানের মতো সাংবাদিককে জেল খাটতে হচ্ছে এটা চরম লজ্জার। মানুষ হিসেবে যতটা আমি লজ্জিত, তার থেকে বেশি লজ্জিত একজন প্রকৌশলী হিসেবে। আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য যারা কলম ধরেছিলেন, আজ তাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের দোষররা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে বিভিন্ন কলকাটি নাড়ছে।

সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আতিকুজ্জামন বিল্লাহর পরিচালনায় মানববন্ধনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, পতিত স্বৈরাচারের প্রতিহিংসামূলক নিকৃষ্ট মামলায় কলম সৈনিক ও সাহসী কণ্ঠ ড. মাহমুদুর রহমানের ওপর জুলুম করে ন্যায়ভ্রষ্ট বিচারের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। আদালতকে সম্মান করে আজ তিনি আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিলেন। কোনোভাবেই তা মেনে নিতে পারছি না। নিকৃষ্ট এই মামলায় তাকে নিঃশর্ত খালাস দিয়ে অতি দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, মাহমুদুর রহমান স্বৈরশাসনের পুরো সময়জুড়ে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। স্বৈরাচারের হাতে তিনি রক্তাক্ত হয়েছেন। দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। জাতি আপনার অবদানকে চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। কারণ আপনি একজন বীর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোশারফ হোসেন দিপ্তী, দৈনিক দিনকালের ব্যুরোচীফ হাসান মুকুল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামরুল ইসলাম, সাবেক কমিশনার মনোয়ারা বেগম মনি। প্রকৌশলী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আমিনুল রহমান সুমন, এ্যাবের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, সি: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আরিফ হাছান চৌধুরী, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী জমির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার, প্রকৌশলী মুনতাসির মুন্না, প্রকৌশলী ইমরান খান, প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামন, প্রকৌশলী দুলাল হোসেন, প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এমদাদুল হক শাহীন, প্রকৌশলী জাহাংগীর আলম, দপ্তর সম্পাদক প্রিয়ম চৌধুরী, বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক আরিয়ান লেনিন, এতে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করেন জাফর আহমদ, ফজলুল হক সুমন, সাজ্জাদ হোসেন খান, লোকমান হাকিম, মো: মাসুম, ইকবাল হোসেন সুমন, মো: আবির, চুয়েট ছাত্রদল নেতা ওয়াজদ রাশেদ, প্রকৌশলী বশির আহমেদ জাফর সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Advertisement
spot_img