জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন তিনি। যা দেশের ইতিহাসে একটা দৃষ্টান্ত বলছেন কূটনীতিকরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা ৫ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান তিনি।
এর আগে জাতিসংঘ সফরে শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রীর খরচের জন্য বরাদ্দ থাকতো ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ছিল বিশেষ ফ্লাইটে যাওয়া-আসাসহ থাকা-খাওয়ার খরচ। আর সফরসঙ্গীদের বিশাল বহরের জন্য খরচ হতো প্রায় ২৫ কোটি টাকা। অথচ এতবড় বহরের কাজের হিসাব জানতেন না কেউ।
এতে করে সরকারের বড় অংকের টাকা অপচয় হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। অথচ এ বছর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যাবেন নিয়মিত ফ্লাইটে, সাথে যাবেন ৫৭ জন।
জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস। একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন তিনি। শুরুতে ৭ জনের কথা বলা হলেও তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন ৫৭ জন। যা দেশের ইতিহাসে একট দৃষ্টান্ত বলছেন কূটনীতিকরা।
অথচ শেখ হাসিনার আমলে সফর সঙ্গী হিসেবে অংশ নিতেন দেড় থেকে দুই শতাধিক কর্মকর্তা। যেখানে থাকতেন সরকারের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি।
জাতিসংঘের এই সফরে যেতে শেখ হাসিনা চাটার্ড বিমান ভাড়া বাবদ খরচ করতেন প্রায় ২ লাখ টাকায়। নিউইয়র্কে গ্রান্ড হায়াত বা ওয়াল্ডর্ফ অ্যাসটোরিয়া হোটেলে প্রতিদিন থাকা এবং খাওয়া বাবদ খরচ করতেন আনুমানিক ১ লাখ টাকা। আর তার সফরসঙ্গীদের পেছনে খরচসহ জাতিসংঘ সফরের এই খরচ গিয়ে পৌঁছাতো ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকায়। যা দেশের জন্য বড় ক্ষতি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এত বড় বহরের বিষয়ে কোন হিসেব পেতো না দেশের জনগণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাড়তি অপচয় কমিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের জাতিসংঘ অধিবেশনের এই সফরের ফলে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি যেমন বাংলাদেশের দিকে ঘুরবে, তেমনি অনন্য দৃষ্টান্ত হবে দেশে।
জানা যায়, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, নেপাল, ইউরোপীয় কমিশন প্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নেই।