চন্দ্রঘোনা তৈয়বিয়া মাদ্রাসায় হামলা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

76

গত ১২ সেপ্টম্বর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারস্থিত মাদ্রাসা-ই-তৈয়বিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় দূর্বত্তকর্তৃক হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কার্যালয়ের ডেস্কের কাচ ভাঙ্গা এবং কিছু উত্তেজিত জনতা মিছিল করছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন সিকদার জানান, বাচ্চু নামের একজন কয়েকজন লোক নিয়ে এসে কোন কারন ছাড়া পরিকল্পিতভাবে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর করেছে। এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আমি এই হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল এক বিবৃতে জানান, ভিন্ন আক্বিদার লোকজন মাদ্রাসায় হামলা চালিয়েছে বলে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ফেসবুক ও সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তা সত্য নয়, তবে সাবেক বিএনপি নেতা সিএমএ কাদের বাচ্চু নামের একজন অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ঢুকে জানতে চায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আপনাদের মাদ্রাসায় এসে কেন বৈঠক, মিটিং ইত্যাদি করেন? কথা বলার এক পর্যায়ে বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষের সামনের টেবিলের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলেন। এই বিষয়ে মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব এম.এ নছীমুদ্দিন কাওছর কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
এই বিষয়ে সাবেক বিএনপি নেতা সিএমএ কাদের বাচ্চু জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বৈরচারের দোসর, হাসান মাহমুদের ল্যাস্পন্সার মোনাফ সিকদার গাউসিয়া কমিটির কর্তাসেজে মাদ্রাসার অফিসকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে রূপান্তর করেছে এবং নিয়মিতি গোপন বৈঠক ও মিটিং করে যাচ্ছে।
তাছাড়াও আমার মরহুম পিতা বিগত অনেক বছর আগে মাদ্রাসা ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ থেকে আমার মা-বাবা উভয়ের জন্য মৃত্যুর পর দাফন করার জন্য অল্প একটু জায়গা খরিদ করে রাখে কিন্তু এই মোনাফ সিকদার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার মরহুমা আম্মাজানকে নির্দিষ্ট ও অসিয়ত করা জায়গায় কবর দিতে দেন নাই। মনের এই দুঃখ আমি এতোদিন কাউকে বলতে পারিনি।
ঘটনার দিন মাদ্রসার সামানে দিয়ে যাওয়ার সময় অধ্যক্ষকের কার্যালয় খোলা দেখে উনার অফিসে প্রবেশ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেন মাদ্রাসা কার্যালয়ে গোপন মিটিং সমাবেশ করে জানতে চাইলে তিনি আমাকে উত্তেজিত হয়ে জবাব দেন এবং বলেন যে, উনি আমাদের মাদ্রাসার একজন সদস্য, উনার আসার অধিকার আছে, উনি আসলে আপনার সমস্যা কি?
অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে তিনি জানান, কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার হাত লেগে অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাসটি ভেঙ্গে যায়, আমি কালক্ষেপন না করে ভুল বুঝতে পেরে একজন দোকানদার ডেকে একটি নতুন গ্লাসের অর্ডার দিই এবং মাদ্রাসা প্রাঙ্গন থেকে চলে আসি।ইতিমধ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সাবেক সভাপতি আব্দুল মোনাফ সিকদার বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে তাদের লোকজন দিয়ে ফেসবুক ও সোসাল মিডায় মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুর হয়েছে বলে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালায় এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ আওয়ামীলীগের ছেলেদের জড়ো করে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করায়। অবৈধ প্রভাব কাটিয়ে উনার মাকে ক্রয়কৃত জায়গায় দাফন করতে না দেওয়ায় তিনিও আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবে বলে জানান।

Advertisement
spot_img
Advertisement
spot_img