দিল্লিতে `গৃহবন্দী` দশায় শেখ হাসিনা

47

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দিল্লির কাছাকাছি একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। হাসিনার ওই বাড়ির বাইরে যাওয়ারও অনুমতি নেই। এমনকি বাড়ির কাছাকাছি একটি সুপার শপেও যাওয়ার সুযোগ নেই তার জন্য। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেলিম সামাদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজে লেখা এক প্রতিবেদনে এসব দাবি করেছেন।

Advertisement
spot_img

গেলো ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেবেন, সেসময় এমন গুঞ্জনের খবর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সেই সুযোগ তিনি পাননি।শেষ পর্যন্ত হাসিনাকে দিল্লিতেই থেকে যেতে হয়। তার সাথে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বোন শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লির কাছাকাছি কোনো বিমান ঘাঁটির একটি নিরাপদ বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না তিনি। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেলিম সামাদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজে লেখা এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছেন। সেলিম সামাদ অজ্ঞাত লিখেছেন, তিনি নিশ্চিত নন ৫ আগস্ট দিল্লিতে হাসিনাকে গৃহবন্দী করা হয়েছিলো কি না। তবে তিনি একটি সূত্রের বরাতে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের পর মোদির সঙ্গে ফোনে আলোচনার করেন। এই ঘটনার পরপর হাসিনার যোগাযোগের সব ডিভাইসে বিঘ্ন ঘটে। এরপর থেকে তিনি আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

শেখ হাসিনার ওই বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। এমনকি ঘাঁটির ভেতর সেনাদের জন্য থাকা একটি সুপার শপেও যাওয়ার সুযোগ পান না তিনি। যদিও হাসিনার বাড়ি থেকে সুপার শপটির দূরত্ব পায়ে হাঁটার পথ। হাসিনার যে কারো সাথে যোগাযোগের সুযোগ নেই, এটি প্রমাণে আরো কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন সেলিম সামাদ। লিখেছেন, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দিল্লিতে অবস্থান করছেন। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি। যদিও শেখ হাসিনা এক মাস ধরে দিল্লিতেই আছেন।

এছাড়া ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দিল্লিতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জয়কে দিল্লিতে আসতে বারণ করা হয়। কারণ তিনি দেখা করতে পারবেন না। শেখ হাসিনাকে যে নির্জন বাড়িতে রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে তার ছেলে-মেয়ের নিরবতা স্পষ্ট। সামাদের দাবি, হাসিনার ফোনের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না তিনি।

সাংবাদিক সামাদ লিখায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। যদি বাংলাদেশ হাসিনাকে ফেরত চায় তাহলে এটি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। আর ভারত যদি হাসিনাকে ফেরত না দেয়, তবে পরিস্থিতি কিভাবে সামলাবে সেটিই দেখার বিষয়।

Advertisement
spot_img