জাপান ও দ. কোরিয়ার নেতাদের ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ বাইডেনের

57

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে চলতি বছরের শেষ দিকে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার মার্কিন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement
spot_img

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে জাপানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারপ্রধানকে ওয়াশিংটনে আরেকটি বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বৈঠকের পরে জারি করা এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, নেতারা উত্তর কোরিয়ার ‘অবৈধ পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির’ মুখে নতুন পদক্ষেপ সমন্বয়সহ তাদের ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

গত কয়েক দশকের টানাপোড়েনের পর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরাজমান সম্পর্কের বরফ আপাতদৃষ্টিতে গলানোর লক্ষ্যেই বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ আসে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, কিশিদা এবং ইউন যৌথভাবে হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার কোরিয়ানদের নিবেদিত একটি সেনোটাফে তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

কিশিদা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছেন। তার দেশ ইতোমধ্যেই শত শত রাশিয়ান সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ইউক্রেনে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

জাপানের নেতা বারবার ইউক্রেনের দুর্দশাকে স্ব-শাসিত তাইওয়ানের ভাগ্যের সঙ্গে তুলনা করেন। যাকে চীন তার ভূখণ্ড বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে জোর করে পুনরায় দখল করার হুমকি দিয়েছে।

এর আগে, ভলোদিমির জেলেনস্কি তথাকথিত গ্লোবাল সাউথ দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও তার দেশ জি-৭ এর আনুষ্ঠানিক অংশ নয়, আয়োজক জাপানই তাকে এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়।

Advertisement
spot_img