জীবিকার প্রয়োজনে সকালবেলা চলে যান অফিসে মা। ঘরে ছিলো পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে। সেই সুযোগে ছাত্রীকে পড়ার নাম করে ডেকে নিয়ে শিক্ষক ফয়েজুল ইসলাম (৪৬) ধর্ষণ করে। পরে মায়ের করা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে।
শনিবার (৮ জুন) শেরশাহ কলোনি এলাকায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার (১০ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা।
রবিবার (৯ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রেফতারকৃত ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতার ফয়েজুল ইসলাম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম নগরের শেরশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর মা গার্মেন্টসকর্মী। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও তিনি তার মেয়েকে বাসায় রেখে কারখানায় চলে যান। তাদের বাসার পাশেই বাসা শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামের। সে তার কাছে প্রাইভেট পড়তো। শনিবার প্রাইভেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেন শিক্ষক ফয়েজুল। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে কর্মস্থল থেকে আসলে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে পুরো বিষয় খুলে বললে তার মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন।
বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর মায়ের করা ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়৷ রবিবার আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে।