রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা বৈঠক করবেন। এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে কর্মব্যস্ত দিন পার করবেন দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দূতাবাস পর্যবেক্ষণে যাবেন তারা। এর পর সেখান থেকে সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠক করবেন দুই কংগ্রেসম্যান। এর পর বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের গুলশানের বাসায় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে চা-চক্রে বসবেন।
আজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সফর করবেন তাদের সহকারীরা। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন কতটা যৌক্তিক হচ্ছে তা যাচাই, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) এবং জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। সোমবার কক্সবাজারে আরআরআরসি ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
ড. মোমেন কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অর্থ ঠিকমতো ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেটি দেখতে আসছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা অর্থায়নে অন্যতম বড় দাতা। আর এ দুই কংগ্রেসম্যান এসব অর্থায়ন কমিটিতে রয়েছেন। তাই তারা দেখবেন কীভাবে তাদের অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি একাধিক মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ গত ৬ থেকে ৮ আগস্ট তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এর আগে গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছিল।
উল্লেখ্য, দেশে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর থেকে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নানামুখী তৎপরতা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ এবং মিশন পর্যবেক্ষক পাঠাতে শুরু করেছে। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নির্বাচনের পরিবেশ, মানবাধিকার, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ নানা বিষয়ে তারা সরকার, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংস্থা, সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।