হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির সব সরকারি দপ্তর। গতকাল সোমবার দিনের শুরুতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এমনকি এ সময় স্থানীয় নাগরিকদের নিজ বাসা থেকে বের না হওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বিপজ্জনক আবহাওয়া পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা বিভাগ জানায়, আলাবামা থেকে পশ্চিম নিউইয়র্ক পর্যন্ত প্রায় তিন কোটি মানুষ সোমবারের সম্ভাব্য টর্নেডোর ঝুঁকির মুখে আছেন।
ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট পাওয়ার আউটেজ ডটইউএস থেকে জানা যায়, প্রবল বজ্রপাত এবং শক্তিশালী বাতাসে গাছ উপড়ে মেরিল্যান্ড এবং ভার্জিনিয়ায় প্রায় ২ লাখ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ ছাড়াও দক্ষিণ এবং মধ্য আটলান্টিক রাজ্যে প্রায় ৮ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়েছেন। ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি দেখা গেছে। এমনকি ওয়াশিংটনের জন্য একটি বন্যা সতর্কতাও ছিল।
প্রতিকূল আবহাওয়া ও বজ্রপাতের কারণে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, ফিলাডেলফিয়া, আটলান্টা এবং বাল্টিমোর বিমানবন্দরে থাকা বিমানগুলোতে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, তারা যতটা সম্ভব আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকার চারপাশে বিমানগুলোকে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে।
সম্ভাব্য ঝড়ের কারণে রোববার ওয়াশিংটন এলাকায় লাইব্রেরি, জাদুঘর, জাতীয় চিড়িয়াখানা, পুল এবং অন্যান্য পৌরসভা এবং ফেডারেল পরিষেবাগুলোও তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিকেল ৩টার পরপরই কর্মস্থল ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইট অ্যাওয়ারের তথ্য বলছে, আবহাওয়ার কারণে প্রায় তিন হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াশিংটনের রিগান জাতীয় বিমানবন্দরে ১০২টি এবং ডালান বিমানবন্দরে ৩৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।