আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে নিরাপদ এবং অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পঁচাত্তর থেকে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এদেশে শুরু হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, যার প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই হামলায় আইভি রহমানসহ ২৩ জনের জীবন চলে গেল। এই সমুদয় ইতিহাসের পেছনে একটা দল বিএনপি। এই দলটি বাংলাদেশে হত্যা, ষড়যন্ত্রের হোতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাদের ইতিহাসের এক অসাধারণ ত্যাগী বিজয় লক্ষ্মী নারী। আজ তার জন্মদিন। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই নয়, তিনি ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ সহযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর একেবারে কাছের একজন সহকর্মী। সংকটে, সংগ্রামে পেছন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছেন। এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।’
এর আগে সকাল ৮টায় রাজধানীর বনানীতে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
পরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেন করে।