২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় তুলনামূলক কম সময় পেয়েও পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। ফলে ব্যাপক মানসিক চাপে পড়েছেন পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া পরীক্ষার্থীরা। এজন্য সিলেবাস কমানো অথবা পরীক্ষা ১ থেকে ২ মাস পেছানোর দাবি তুলেছেন তারা।
জানা গেছে, আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু এবারের পরীক্ষার্থীদের তুলনামূলক কম সময় পেয়েও পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। ফলে ব্যাপক মানসিক চাপে পড়েছেন তারা।
২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রায় আড়াই বছর সময় পায়। আড়াই বছর সময় নিয়ে তাদের পরীক্ষা হয় ৫০ নম্বরের। কিন্তু ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীরা মাত্র দেড় বছর সময় পেয়েছে। তুলনামূলক এক বছর কম সময় পাওয়ার পরও তাদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। গত বছর আইসিটি সাবজেক্টের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আইসিটি সাবজেক্টও পরীক্ষা দিতে হবে।
এসব বিষয় নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবারের পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও বোর্ডের ই-মেইল ও সামাজিকমাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছেন তারা। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এ অল্প সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব না। গত বছরের পরীক্ষা আড়াই বছর সময় থাকা সত্ত্বেও তারা ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়েছে। ২৩ ব্যাচ-এর শিক্ষার্থীদের দেড় বছরের কম সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাদের ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হোক।’
অন্য এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘কোভিড -১৯ পরবর্তীতে শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে আনা হয়েছিল। এজন্য আমরা অনেক স্বল্প সময় পেয়েছি। তার মধ্যে শিক্ষাবর্ষে ছুটি ছিল অনেক দিন। এই স্বল্প সময়ে আমাদের সিলেবাস সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডেঙ্গু বিদ্যমান। এমতাবস্থায় আমাদের পরীক্ষা পেছালে সুবিধা হতো।’
এসব বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বছর শিক্ষার্থীরা কম সময় পেয়েছে। এজন্য তাদের সিলেবাসও পরিমার্জিত। কম সময়ে যে পরিমাণ সিলেবাস শেষ করা সম্ভব সেই পরিমাণ সিলেবাসই রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা বলছে তা পুরোটা সঠিক না।’