কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ আটককৃত সকল নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ সারাদেশে সভা সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার না দেয়ার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিলটি হয়।
এর আগে, চট্টগ্রামে সমাবেশ-মিছিল করতে পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করলেও বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মিছিল ও মিছিল পরবর্তী সমাবেশ করছে দলটি। কৌশলী জামায়াত পুলিশকে অনেকটা ‘ঘুমে’ রেখে ‘নির্বাধায়’ মিছিল-সমাবেশ করে যাচ্ছে।
পুলিশ বলছে, মোবাইল টিমের গাড়ি নষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে আছে। সেই ফাঁকে তারা মিছিল করে গেছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘জামায়াত মিছিল করেছি কি, করেছে কি’না আমরা তো ওদিক দিয়ে ছিলাম না। কারণ সব জায়গায় পানিবন্দি। শুনছি করেছে। আমরা ভেরিফাই করতেছি। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য পাঠিয়েছি।’ তবে মিছিলের জন্য তাদের কোনো অনুমিত নেই বলে জানান ওসি।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ২ নম্বরের দিকে আমাদের মোবাইল টিম ছিল। আমাদের রাতে একটা মোবাইল টিমের যে গাড়িটা সেটা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে পানিতে। ওরা এখনও আসতে পারে নাই। সেই ফাঁকে তারা (জামায়াত) একটু সুযোগ পেয়েই সম্ভবত তিন-চার মিনিটের একটা মিছিল করেছে। ২ নম্বর গেটে থাকা মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে যেতে যেতেই জামায়াত মিছিল শেষ করে চলে গেছে।’
ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘জামায়াত নেতারা এ মিছিলটি কয়টার দিকে করেছে তা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে বুঝা যাবে। আমরা ভেরিফাই করতে পাঠিয়েছি। তবে ধারণা করছি, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে করে হতে পারে’।