রোববার সকালের বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, কে বি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, তিন পুলের মাথা, রিয়াজউদ্দিন বাজার, মুরাদপুর এবং হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে ও অলিগলি পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
এসব এলাকার প্রধান সড়কের কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর, আবার কোথাও বুক ছুঁই ছুঁই পানিতে তলিয়ে গেছে। বাসায় পানি ঢুকে যাওয়ায় আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হচ্ছে। বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভিজে গেছে বেশ কিছু পণ্য। এছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় রিকশায় অথবা পায়ে হেঁটে হাঁটুপানি মাড়িয়ে অনেককে কর্মস্থলে যাত্রা করতে দেখা যায়।
সকালে নগরীর চকবাজার কাঁচাবাজারে বিক্রেতাদের শাকসবজিসহ বিভিন্ন পণ্য পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। পাশের চকভিউ সুপার মার্কেটের নিচতলার দোকানগুলোর ভেতরে নোংরা আবর্জনা পানিতে ভাসছিল।
বর্ষার এ বৃষ্টি আরো দুই একদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল। তিনি জানান, বর্ষাকাল এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বজ্রপাতসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারী থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে আরও দুই এক দিন। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও নদীবন্দরগুলোর জন্য ১ নম্বর নৌ-সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কার পর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত প্রায় ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
শুধু চট্টগ্রাম নগরীর নয়, টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানি বেড়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী,রাউজান, ফটিকছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। রাউজান পৌরসভা, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন, উরকিরচর ও বাগোয়ান ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে ঘরবাড়ি, মসজিদ, স্কুল-মাদ্রাসা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে। ডুবে গেছে সড়ক।